সাতছড়ি উদ্যান থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে কাউন্টার টেররিজমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান বাদী হয়ে আবেল ত্রিপুরা অমিতকে প্রধান আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

সাতছড়ি উদ্যান থেকে অস্ত্র উদ্ধার

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিমের প্রধান এডিসি মো. রহমত আলীর নেতৃত্বে উপজেলার চন্ডিছড়া চা বাগানের খেলার মাঠে ওই মটারশেলগুলো ধ্বংস করা হয়। এ সময় বিকট শব্দে স্থানীয় এলাকা প্রকম্পিত হয় এদিকে উদ্ধারকৃত ৫১০ রাউন্ড গুলি চুনারুঘাট থানায় হস্থান্তর করা হয়

এর পুর্বে সোমবার বিকেল ৪ টায় চুনারুঘাট থানা প্রাঙ্গণে কাউন্টার টেররিজমের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান যাত্রাবাড়ী থেকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকার বিষু ত্রিপুরার ছেলে আবেল ত্রিপুরা অমিতকে পিস্তল গুলিসহ আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে আবেলকে নিয়ে সাতছড়ির গহীণ অরণ্যে অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। অভিযানে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড লরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের গুলি ৫১০ রাউন্ড ও ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার উদ্ধার করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের গত ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১৮টি কামান বিধ্বংসী রকেট সেল উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এরপর আবারো ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। ৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রæয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ৬ষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।