সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গায় ক্ষুরা রোগে ২টি গরুর মৃত্যু

আব্দুস সালাম সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, বাঁশদাহ ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গেল কয়েক দিনে এই রোগে ঝাউডাঙ্গায় অন্তত ২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় শতাধিক গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনকি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও এই রোগে আক্রান্ত পশুকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই উপজেলার ঝাউডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সেদিকে নেই নজরদারি।

জানা যায়, হঠাৎ করেই গবাদি পশুর মধ্যে ক্ষুরা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গেল কয়েক দিনে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বেশকিছু গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ঘোষপাড়ায় কার্ত্তিক ঘোষের একটি ও সুশান্ত ঘোষের একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গরুর অবস্থা খুবই গুরুতর বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী সুশান্ত ষোষ জানান, প্রথমে গরুর পায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মুখ দিয়ে লালা ঝরে। রোগাক্রান্ত গরুটি হাঁটাচলা করতে পারে না। কোনো প্রকার খাবার খেতে পারে না। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপরও এই রোগে আক্রান্ত গরুকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছে। রোগাক্রান্ত পশুর ব্যাপারে পরামর্শ নিতে সরকারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায় না। এই সময়েও বাণিজ্যিকভিত্তিতে পশুর চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তাদের পশুকে ক্ষুরা রোগের আক্রান্ত থেকে প্রতিকার চেয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে খবরটি শুনেছি। এবিষয়ে ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা কাজ করছে। চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিন কম থাকায় একটু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।