ষড়যন্ত্রের বলি দুইশত বছর পুরনো কুমিল্লার আশরাফ নগর দরবার শরিফ

এস কে সুমন মাহমুদ

প্রায় দুইশত বছরের পুরনো কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ঐতিহ্যবাহী দরবার আশরাফ নগর দরবার শরীফ। এটি দোখাইয়া চাঁদপুর নামে লোকমুখে পরিচিত এ দরবার কে ঘিরে রয়েছে নানা প্রাচীন ঐতিহ্য তেমনি এই দরবারের বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে অনেক ভক্ত আশেকান।
এই দরবারের প্রধান ওরস ২২ই মাঘ হয় লক্ষ লক্ষ ভক্তের মিলন মেলা এছাড়াও প্রতিনিয়ত ভক্ত আশেকান ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আগমন ঘটে । এ দরবার এ রয়েছে নানাবিধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিক তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান- দোগাইয়া আশরাফিয়া ইসলামিয়া সুন্নি মাদ্রাসা এ মাদ্রাসার বড় একটি জায়গা দরবার কর্তৃপক্ষ দান করে থাকে। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই সম্পুর্ন অবৈতনিক এবং বই-পুস্তক, আসবাব পত্র ও ফার্নিচারসহ যাবতীয় সকল কিছুর সুব্যবস্থা ও খরছ বহন দরবার শরীফের পক্ষ হতে করা হয়ে আসছে, আশপাশের এলাকাসহ দুরদরান্ত হতে আগত অসহায়, দরিদ্র এবং মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের সুশিক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানটি সুন্নি মতাদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হয়ে সুনাম ও সফলতার সাথে পর্যায়ক্রমে ১৯৯৭ ইং সালে আলিম /একাদশ শ্রেনিতে উন্নীত হয়েছিলো। কিন্তু বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে জোরপূর্বক মাদ্রাসার পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে ঐ সময় কার দুষ্টচক্র অত্র প্রতিষ্ঠানের আলিম/একাদশ শ্রেনির মন্জুরি বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যায়। বর্তমানেও স্বাধীনতা বিরুদ্ধ জামাত-শিবির ও বিএনপি দুষ্টচক্র – আওয়ামী ছদ্মবেশে উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান কমিটিতে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ করে পুনরায় মাদ্রাসাটিকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কূটকৌশলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুন্নীমতাদর্শ ভিত্তিক এবং মুক্তিযুদ্ধের দুর্গ হিসেবে পরিচিত অত্র প্রতিষ্ঠানটির জায়গাকে সরকারি খাস জায়গা দেখিয়ে গ্রামের ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দুষ্টু চক্র অত্র দ্বিনি-প্রতিষ্ঠানের এবং দরবার শরীফ এর জায়গায় গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কুটকৌশলে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে জবর দখলে নেয়ার অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নি। বিষয়টির ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পীর ফকির ও আউলিয়া কেরামের আবেদন বিষয়টির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নিলে বিষয়টি নিরসন হবে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করছেন।