শেখ হাসিনার শেষ মেয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক মাস আগেই চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেবার পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, তিনি তরুণদের সুযোগ করে দিতে চান। পরবর্তী মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য চেষ্টা করতে চান না।

জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি, তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। এটা আমার টানা তৃতীয় মেয়াদ। এর আগেও আমি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান- এসব মৌলিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়। আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।

বাক স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন,যত কাজ করবেন, তত সমালোচনা শুনবেন। আপনি আমার দেশের মানুষকে প্রশ্ন করুন, তাঁরা সন্তুষ্ট কিনা; তাঁদের যা যা প্রয়োজন, সব পাচ্ছে কিনা, কিংবা আমি সব দিতে পারছি কিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তখন দেশ একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল চলত, যা ছিল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমি বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমতি দেই।

বিরোধীদের জন্য মাঠ সংকুচিত করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কোনও দল যদি তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে না যেতে পারে, জনগণের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে না পারে, আর যদি ভোট না পায়, সে দায়-দায়িত্ব কার? সে তো ওই দলগুলোর দুর্বলতা।

জনগনের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসা উল্লেখ করে বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, সে নির্বাচনেও ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছিল। এবার তো ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। তখন বিএনপি-জামাত জোট পেয়েছিল মাত্র ২৮টি সিট। এবার ইলেকশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৬০টি সিট (৩০০টির মধ্যে)। বাকি সব অন্য দলগুলো পেয়েছে। সেখানে দল তো আছেই।`

https://www.facebook.com/Mohammad.A.Arafat/videos/290895471586114/?t=1

রোহিঙ্গাদের নিয়ে বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তিও হয়েছে, তারা ফেরত নিয়ে যাবে। চীন ও ভারতের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে পাঁচটি দেশের সীমান্ত আছে, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওস, আমরা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি, কীভাবে এই সমস্যা সমাধানে তাদের কাজ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, এটাই চাই যে, তারা মিয়ানমারকে কথাটি ভালো করে বোঝাক, এরা যখন মিয়ানমারে চলে যাবে, তখন তাদের যা যা সাহায্য দরকার, থাকার বাড়িঘর, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা, এখানে যা যা দিচ্ছে, তা ওখানেই দেবে এবং তাদের একটা নিরাপত্তার ব্যবস্থাও তারা করবে। জাতিসংঘেরও এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আছে। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার।