শুভ জন্মদিন, ফুটবলের রাজা….

এই আমার দেশ ডেস্ক : ক্ষুধাকষ্ট, দারিদ্র্য, অপমান ভুলতে ফুটবলকে বেছে নিয়েছিল একটি শিশু। তাঁর কাছে ফুটবল ছিল সবকিছু ভুলে থাকার অপর নাম। পরবর্তীতে সেই শিশু হয়ে ওঠেন বিশ্বের অন্যতম দামী ফুটবলার। দারিদ্রের কষাঘাত তাকে বানিয়েছে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

পর্তুগালের মাদেইরায় জন্ম নেওয়া রোনারদো মাত্র ১০ বছর বয়সে যোগ দেন স্থানাীয়ভাবে জনপ্রিয় ক্লাব ন্যাসিওনালে। প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে সুযোগ পেয়ে যান দেশটির শীর্ষস্থানীয় ক্লাব স্পোটিং লিসবনে

কথা আঞ্চলিকতার কারণে স্কুলের শিক্ষক তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে, সহ্য হয়নি রোনালদো। শিক্ষককে চেয়ার ছুড়ে মেরে স্কুল থেকে বহিষ্কার হন ১৪ বছর বয়সে। এরপর আর কোনদিন স্কুলে যাননি তিনি।

১৫ বছর বয়সে এক রোগ ধরা পড়ে তাঁর। স্বাভাবিকের চেয়ে হার্টবিট বেশী হওয়ায় ফুটবল খেলতে বারণ করে দেন ডাক্তার। কিন্তু রোনালদো তা মানলেন না। লেজার অপরারেশন করিয়ে মাত্র কযেক মাসের ব্যবধানে আবারো ফিরলেন খেলার মাঠে।

২০০৩ সালে আঠার বছর বয়সে ক্লাবটি প্রথম পর্তুগিজ ফুটবলার হিসেবে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ২০০৮ সালে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন রোনালদো। এ সময়ে ম্যানইউ তিনটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতে। ম্যানইউর জার্সিতে ছয় মৌসুমে ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল করেন তিনি।

২০০৯ সালে ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে ৬ বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনালদো। এই মৌসুমে ৩৫ ম্যাচে ৬টি হ্যাটট্রিক সহ ৩৩ গোল করেন তিনি। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে টানা নয় বছর খেলেছেন রোনালদো। ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০টি গোল করেন তিনি। রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি তাঁর দখলে। স্প্যানিশ ক্লাবটির জার্সিতে চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ মোটটি ১৫টি শিরোপা জেতেন তিনি।

চলতি মৌসুমে সবাইকে অবাক করে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। ৩০ ম্যাচে এ পর্যন্ত গোল করেছেন ১৯টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও সমান উজ্জ্বল রোনালদো। ১৫৪ ম্যাচে গোল করেছেন ৮৫টি। এছাড়া তাঁর অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে ইউরো কাপ জেতে পর্তুগাল।

বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ বার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, আজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ৩৫তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, ফুটবলের রাজা….