রাতের আধারে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্যাস মতিন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শ্রী বল্লভপুরে মামা কর্তৃক আপন ভাগিনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও সম্পত্তি আত্মসাৎ এর অভিযোগের মামলায় গ্যাস মতিনকে আটক করেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্রী বল্লভপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শ্রী বল্লভপুরে মামা কর্তৃক আপন ভাগিনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়। ভুক্তভোগী লুৎফা বেগমের সম্পত্তি কথা মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে একাই ভোগ করে আসছে ভূক্তভোগীর ভই আব্দুল মতিন ওরফে গ্যাস মতিন। লুৎফা বেগমের আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো না থাকার কারণে ও তার স্বামীর শারীরিক অসুস্থতার ফলে ভাই আব্দুল মতিন এর কাছে জমি বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা চেয়েছিলো। আর এই জেড় ধরে লুৎফা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তার সন্তানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। যার ফলে ভুক্তভোগী সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে সদর দক্ষিণ মডেল থানার চৌকস অফিসার এসআই শরীফের নেতৃত্বে একটি আসামি গ্যাস মতিনকে আটক করে।

ভুক্তভোগীর ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার মামা একটি মামলা বাজ লোক। তিনি তার পাঁচটি বোনের কাউকে সম্পত্তি দিতে রাজি নয়।

গ্যাস মতিনের জেঠাতো ভাই আবুল হাসেম বলেন, মালেক আর মতিন সকল চক্রান্ত করে আসছে। তারা কথার সাথেই মামলা দেয়। মামলা ছাড়া কিছুই বুঝে না তারা। তারা সমাজ চিনেনা গ্রাম চিনে না, কোন কিছুই মানে না ।

আব্দুল মতিনের ভাতিজি জোসনা বলেন, আমার বড় জ্যাঠা আব্দুল মালেক তার ছেলে ইকবাল ও আব্দুল মতিন চাচা মিলে আমাদের যে বাড়িটা আছে সেটা আমাদের মালামালসহ দখল করে রেখেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নিয়মিত মামলার প্রধান আসামি মতিনকে গভীর রাতে আমাদের এসআই শরীফ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সকালে প্রেরণ করা হয়েছে। সমাজে যারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।