মেহেরপুরে ১২ জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে

স্বপন আলী: নাশকতার মামলায় স্থায়ী জামিন নিতে এসে মেহেরপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সেক্রেটারিসহ ১২ জামাত ইসলাম এবং বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকালের দিকে এসমস্ত নেতাকর্মীদের কারাগারে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন মেহেরপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আবদুর রব মুকুল, জামায়াতের কর্মী সাইফুল ইসলাম, রমজান আলী, মহাসিন আলী, শাহাবুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জাব্বার, বিএনপি নেতা আলিহীম এবং আব্দুস সালাম।
মাহবুবুল আলম মেহেরপুর শহরের কলেজ পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে। রুহুল আমিন সদর উপজেলার খন্দকার পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।জাব্বারুল ইসলাম হিজুলি গ্রামের মুসলেম আলীর ছেলে।আবদুর রব মুকুল রাধাকান্তপুর গ্রামের শিহাব আলীর ছেলে। সাইফুল ইসলাম হিজলী গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।রমজান আলী তাহাজ উদ্দিনের ছেলে। মহাসিন আলী ইসাহাক আলী ছেলে। শাহাবুদ্দিন রাজনগর গ্রামের দুধ মল্লিকের ছেলে। রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার মোতালেব আলীর ছেলে। আব্দুল জাব্বার খন্দকার পাড়া তিলাক সাহার ছেলে। বিএনপি নেতা আলিহীম রাজনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং আব্দুস সালাম একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। জানা গেছে গত ১৬ মে মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে গোপন বৈঠক করার সময় মেহেরপুর পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে জামাত ইসলামের নেতাকর্মীদের আটক করেন। ওই ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ডি ধারায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-২৩। এদিকে মামলার পরপরই উল্লেখিত আসামিরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার পর তারা মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানান। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।