মির্জা সুলতান রাজার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃতি সন্তান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি জননেতা মির্জা সুলতান রাজার আজ ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৩৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মির্জা সুলতান রাজা ঝিনাইদহের মহেশপুরের গোয়ালহুদা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার শেখপাড়ার মীর্জা মঞ্জিলের মরহুম মী ময়েজ উদ্দীন আহম্মেদের বড় ছেলে। ৭৫ বছর বয়সেই মির্জা সুলতান রাজা ঢাকার খিলগাঁয়ের বাড়িতে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ১৯৫২ সালে চুয়াডাঙ্গা ভিজে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি ১৯৬৫ সালে পটুয়াখালীর আমতলীর ঘূর্ণিঝড়ের পর রিলিফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ শেষে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফেরেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চুয়াডাঙ্গার অন্যতম সংগঠক হিসেবে ভুমিকা রাখেন।

১৯৭২ সালে জাসদে যোগ দিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হন। ১৯৭৫ সালে জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। জাসদ ভেঙে গেলে তিনি ১৯৯০ সালে জনতা মুক্তিপার্টি সংগঠিত করে সভাপতি হন। ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে যোগদিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মনোনীত হন।

১৯৮০ সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত গণকণ্ঠের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সাত দলীয় জোটের হয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।