মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে নিখোঁজের ১৫ দিন পর নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল রাড়ির (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা।

বুধবার (আগস্ট-২৫) সকালে কালকিনি উপজেলার চরফতেহা বাহাদুরপুর নিজ বাড়ীর পাশে আম গাছের সাথে হাত বাধা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আসাদুল রাড়ি খবির রাড়ির ছেলে।

এলাকাবাসী, পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের চর ফতেহা বাহাদুরপুর গ্রামের খবির রাড়ির নির্মাণ শ্রমিক ছেলে আসাদুল রাড়ি ১৫ দিন আগে নিখোঁজ হয়। ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও করা যায়নি। আজ বুধবার বাড়ীর পাশে আম গাছের সাথে হাত বাধা অবস্থায় তার ছোট ভাই দেখতে পায়। পরে পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে দেখতে পায় হাত বাধা অবস্থায় আম গাছের সাথে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

আসাদুলের স্ত্রী শারমিন আক্তার পারিবারিক কলহের জেরে গত কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে বাপের বাড়ী চলে যান এবং ফিরে না আসলে ১৫ আগে শারমিন আক্তারকে শশুড় বাড়ী থেকে আনতে যায় আসাদুল।

তবে দীর্ঘ দিন যাবত স্ত্রী শারমিন ও শশুড় বাড়ীর লোকজনদের সাথে পারিবারিক কলহ চলে আসছে বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি এটা আত্মহত্যা না,পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের বাবা খবির রাড়ি বলেন, আমার ছেলে ১৫ দিন আগে তার শশুড় বাড়ীতে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন আমার ছেলে।

নিহতের বাবা আরও বলেন, ২ বছর আগে ডিমচর গ্রামের রিপন গোমস্তার মেয়ে শারমিন আক্তার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় এবং ৫ মাস আগে একটি পুত্র সন্তান জম্ম নেয়। এরপর শুরু তাদের কোলাহল। সে তার বাবার বাড়ী অবস্থান নেয়। আমার ছেলে পুত্র বধুকে ফিরিয়ে আনতে গেলে ২ দফা তাকে মার ধর করা হয়। আমার ছেলেকে তারাই মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।

মেয়ের বাবা রিপন গোমস্তা বলেন, আমি ১ সপ্তাহ ধরে ঢাকায় আছি। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।