রোমান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনির ডাসারে জমি নিয়ে বিরোধ আত্মরক্ষার গুলিতে প্রতিপক্ষ মোঃ সোহাগ তালুকদার-(৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত সোহাগ তালুকদার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের সামচুল হক তালুকদারের ছেলে।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডাসার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে এবং ঘাতককে আটক করে।
এদিকে এ হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিন মোল্লাসহ , ঘাতক কামালউদ্দিন ওরফে আহাদসহ পাঁচ জনকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী, পুলিশ, নিহতের পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা গেছে,কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের নিহত সোহাগ তালুকদারের পিতা সামচুল হক তালুকদারের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে কামালউদ্দিন ওরফে আহাদের দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধপূর্ন জমিতে ভোরে ধান রোপন করতে যান নিহত সোহাগ তালুকদার। এসময় তাকে ধান রোপন করতে বাঁধা প্রদান করেন কামালউদ্দিন ওরফে আহাদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে কামালউদ্দিন ওরফে আহাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায় নিহত সোহাগ তালুকদার ও তার লোকজন। পরে কামালউদ্দিন ওরফে আহাদ জীবন রক্ষার্তে তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে নিহত সোহাগের উপর গুলি ছুরলে গুলি তার পেটের নিচে লাগে। পরে আহত অবস্থায় সোহাগ তালুকদারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে রওনা হয়ে মাদারীপুরের পাচ্চর নামকস্থানে গেলে সে মাড়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। খবর পেয়ে উপজেলার ডাসার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে এবং ঘাতককে আটক করে।
অভিযুক্ত কামালউদ্দিন ওরফে আহাদের মেয়ে তাপসী আক্তার বলেন, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলে,তারা আদালতের মামলা উপেক্ষা করে ধান রোপন করতে ছিল। পরে আমার বাবা তাদের ধান রোপন করতে নিষেধ করে। প্রথমে আমার বাবার উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে নিহত সোহাগ তালুকদার ও তার লোকজন। পরে আমার বাবা তার জীবন রক্ষার্থে তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি করে।
নিহতের বাবা ও মামলার বাদি সামচুল হক তালুকদার বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করার জন্য হুকুমদেন সাবেক চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা পরে আহাদ আমার ছেলেকে গুলি করে। তাই আমি তাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
এ বাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক উদ্ধার করেছি এবং এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছি।