ভূমিকম্পে নিহত ২৮০০ ছাড়াল, জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। শত বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, বেঁচে যাওয়াদের বাঁচানোর আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের পাশাপাশি বেড়েছে আহতের সংখ্যাও। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬২ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মরক্কো তার শত বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি এটলাস পর্বতমালার আশেপাশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন এবং ইট ও মাটির ঘর ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তিন লাখের বেশি মানুষ এই দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস সূত্রে জানা গেছে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল অ্যাটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে। এই জায়গাটি দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাকেশ শহর।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মরক্কোর প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের মধ্যে স্পেনের উদ্ধারদল ইউনাইটেড ফায়ারফাইটারস উইদাউট বর্ডারসও রয়েছে। সংস্থাটির ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইমি এন’টালার এক প্রত্যন্ত গ্রামে ধ্বংসস্তূপের ওপর উদ্ধারকাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরও।

ইউনাইটেড ফায়ারফাইটারস উইদাউট বর্ডারসের উদ্ধারকর্মী আন্তোনিও নোগালেস বলেন, ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা ভয়াবহ। এই গ্রামের একটি বাড়িঘর দাঁড়িয়ে নেই। সব মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তবে আগামী দিনে আমরা কয়েক মানুষকে হলেও উদ্ধার করতে পারব। ধসে পড়া বাড়িঘরের নিচে এখনো অনেক মানুষ থাকতে পারে। সেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও থাকতে পারে। আমি যেমনটা বলি, আমরা কখনই আশা ছাড়ি না।