এম.মাসুম আজাদ, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের সদর উপজেলা মধুহাটি ইউনিয়নের চোরকোল শ্রীপুর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি বাড়ী বীর নিবাস উপহার হিসাবে পেয়েছেন, যে বাড়ীতে বর্তমান তার স্ত্রী ও সন্তানেরা বসবাস করছেন, কিন্তু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অত্র এলাকার মেম্বার আয়াদুল ও তার ভাই ইন্তাজুল,বাইদুল,সবুজ,জহির মন্ডল সহ আরো অনেকেই বীর নিবাসে হামলা করে বাড়ী ভাংচুর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপরে সন্ত্রাসীরা হামলা করেন।
সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, বীর নিবাসে হামলা করে ঘর-বাড়ী ভাংচুর, ঘরের জানালর গ্লাস ভাংচুর করেছেন। সে সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নজরুলকে ও তার মেয়েকে মারধর করে গলায় ধারালো ছুরি ধরে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
সেসময় নির্যাতনের স্বীকার নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আমাদের গ্রামের আয়াদুলের মেম্বারের মেয়ে আনিকা, সোহাগ নামের একটি ছেলের সাথে আনুমানিক ৬ মাস আগে স্কুল থেকে পালিয়ে যায়,তখন ওই স্কুলের সভাপতি আশরাফুল মেম্বার বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু গতো তিন দিন পূর্বে ঈদের দিন সোহাগ নামের সেই ছেলেটি আমার ছেলেকে ডাকতে আসে আর তখনি আয়াদুল মেম্বার তার লোকজন নিয়ে এই হামলা পরিচালনা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের দিন সকালে হটাৎ করেই বাইদুল,ইন্তাজুল,আয়া মেম্বার সহ কয়েকজন মিলে আমাদের উপরে হামলা করেন,আমাদের গলায় ধারালো দেশি অস্ত্র ধরে প্রাণনাসের হুমকি সহ, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং অনেক মারধর করে বীর নিবাস ভাংচুর করেন।
এই বিষয়ে আমরা ছয় জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানান,ঈদের দিন হটাৎ করেই আয়াদুল মেম্বার ও তার লোকজন বীর নিবাসে হামলা করে ভাংচুর করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামালার ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গজনবী, তিনি বলেন দেশের আইনশৃঙ্খলার কতটা অবনতি হলে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী বীর নিবাসে হামলা হতে পারে।আমরা দোষীদের বিচারের দাবি করছি।
এদিকে, হামলার বিষয়ে ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সহ সভাপতি সৈয়দ আশিকুজ্জামন জনি বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সেই সাথে দোষী আয়াদুল মেম্বার ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।
এবিষয়ে আয়াদুল মেম্বারের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন আমি মারামারি দেখে তাদের দুই পক্ষকে ঠেকিয়েছি আর বীর নিবাস ভাংচুরের বিষটি আমি কিছুই জানি না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল রাজ্জাকের বীর নিবাসে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে কথা হয় ঝিনাইদহের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, ঘটনাটি আপনাদের কাছেই শুনলাম এরকম ঘটনা সত্যিই দুঃখ জনক বিষয়, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই সুবিচার করা হবে।