বিশ্বজুড়ে আলোড়ন, চিকিৎসায় নতুন সাফল্য এইডস এর

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটেনের এক ব্যক্তি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এইডস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছেন। তার নাম দেয়া হয়েছে, ‘লন্ডন পেশেন্ট’। এইচআইভি প্রতিরোধী বোন ম্যারো স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের প্রায় তিন বছরের মাথায় তার শরীর থেকে এইচআইভির জীবাণু সম্পূর্ণরূপে দূর হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান।

চিকিৎসক দলের এক সদস্য রবীন্দ্র গুপ্তা জানান, নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে এইচআইভি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ১৮ মাস পার হলেও ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।

এর আগে ২০০৭ সালে টিমোথি ব্রাউন নামক এক আমেরিকান ব্যক্তি এইচআইভি-তে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি এইচআইভি থেকে নিষ্কৃতি পান এবং এখনও পর্যন্ত তিনি রোগমুক্ত আছেন। তবে এরপর দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তিকে একই পদ্ধতি চিকিৎসা দিয়েও দীর্ঘদিন সাফল্য পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা।

এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত। ১৯৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা গেছেন এই রোগে। তবে কয়েক বছর আগে উদ্ভাবিত জটিল ভাইরাসে তৈরি ওষুধ দিয়ে এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হচ্ছে।

এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রিত বা ফ্রিজ করে রাখার ওষুধ উদ্ভাবনের পর রোগটিকে মরণব্যাধির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এটি ক্রনিক ডিজিস বা স্থায়ী রোগ। নতুন করে ‘লন্ডন প্যাশেন্ট’ এইচআইভি থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার পর উম্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত।

ডাক্তার গুপ্তা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে ‘লন্ডন পেশেন্ট’ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হন এবং ২০১৭ সালে তিনি হজকিন্স লিম্ফোমা নামক এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারেও আক্রান্ত হন। ২০১৬ সালে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সেসময়ই চিকিৎসকরা তার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেন।