বিবাহিত হয়েও ছাত্রদল ঢাকা দক্ষিনের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাজু!

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের বন্ধু হওয়ায় বিবাহিত হয়েও পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক! গত ৯ আগস্ট এ প্রকাশিত পুর্নাঙ্গ কমিটিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের এই পদে বসানো হয়। একেবারেরই নতুন মুখের হঠাৎই এত বড় দায়িত্ব পাওয়ায় অনেকটা হতবাক হয়েছেন নগরের দায়িত্ব পাওয়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নগরের কোন কর্মসূচিতেই এর আগে কখনো দেখেনি রাজু আহমেদকে। ইতোমধ্যে এই বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে চাউর হয়েছে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের মাধ্যমেই এত বড় পদ পেয়েছেন তিনি। তাই,অনেকটা ক্ষুদ্ধ হয়েই পদ পাওয়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেই যদি ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অপরিচিতদের বড় বড় দায়িত্ব দেয়,তাহলে সেটাতো আমাদের জন্য এবং দলের জন্য বড় ক্ষতিকারক।। রাজু আহমেদকে এই পদে বসানোর জন্য মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা ৪ আসনে নিজের প্রভাব বাড়াতে রাজু আহমেদকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদে বসানোর জন্য ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে শ্যামলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আ ন ম সাইফুল ইসলাম।

তবে, এরই মধ্যে রাজু আহমেদের একটি বিয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে । জানা যায়, ২০১৮ সালে নেত্রকোনায় বান্ধবী মরিয়ম আক্তার স্নিগ্ধাকে বিয়ে করেন মহানগর দক্ষিনে নতুন পদ পাওয়া এই রাজু আহমেদ। বিবাহিত জেনেও তাকে দক্ষিণের আগের কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ দেন ইকবাল হোসেন শ্যামল। যদিও এর আগে ওয়ার্ড,থানা বা নগরের কোন পদেই ছিলেন না তিনি। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলেওর ছাত্র পরিচয় দিয়ে আসলেও খোজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যামলসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু পড়াশুনা করার সুবাদে তিনিও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।

রাজু আহমেদর বিয়ের ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরপরই ছবিটি এডিট করে ডেমরা থানা ছাত্রদলের সভাপতি, শ্যামপুরের সাধারণ সম্পাদক এবং নতুন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের নামে বানানো বেশ কিচু ফেসবুকে ছড়িয়ে দে্য়া হয়। ছবিটিতে রাজু আহমেদের বডি,হাত এবং জামা-কাপড় ঠিক রেখে খুব সুক্ষ্মভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে মাথার অংশে। এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। আর অভিযুক্ত রাজু আহমেদকে ফোন দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।