বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি: যশোরের কৃষি উৎপাদনে বড় ধাক্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন যশোরের কৃষকরা। এরই মধ্যে কৃষি জমিতে সেচ খরচ বেড়ে গেছে। কৃষি বিভাগ সেচ খরচ কমাতে সাশ্রয়ী পদ্ধতির কথা বললেও তার রূপরেখা স্পষ্ট নয়।

দেশের সবজির চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করে যশোর। এছাড়া প্রতি মৌসুমে প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমিতে আবাদ হয় ধান। এসব সবজি ও ধানের ফলন সেচের ওপর নির্ভর করে।

চলতি মৌসুমে যশোরে ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো এবং ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজির আবাদ করেছেন কৃষকেরা। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিঘা প্রতি সেচ খরচ বেড়েছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। যশোরের কৃষকরা বলছেন, দিন দিন কৃষি উপকরণের দাম বাড়ছে, এর সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন যে খচ্চা হচ্ছে, তা বেচা–কেনা করেও ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। চাষাবাদে লস হচ্ছে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করে কৃষি কাজের ভর্তুকি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষকরা। বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রভাবে সার-কীটনাশকের দামও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।

যশোর নাগরিক কমিটি সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, বড় মৌসুম চলতেছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সেচ কাজের ক্ষতি হবে। সার, বীজ পণ্য উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সেগুলোরও দাম বৃদ্ধ পাবে।’

সেচ খরচ কমাতে কৃষি বিভাগ সাশ্রয়ী পদ্ধতির কথা বললেও তার রূপরেখা সুস্পষ্ট নয়। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আনিসুজ্জামান খান বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সেচ পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে থাকে। যেমন যদি ধান ফসল হয়, সে ক্ষেত্রে সেচ নিয়ন্ত্রণ পাইপ, বা এ ডব্লিউডি পাইপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে। যার ফলে শতকরা ২৮ ভাগ পানি সাশ্রয় হয়।’