বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

এমরান হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। আগামি ২৬ ডিসেম্বর এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনই সকল দূরত্ব ভেদ করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে দলের নেতাদের আফসোস করতে হবে বলে জানান সচেতনমহল।

বাট্টাজোড় ও বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে দীর্ঘ ১০ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচন শুরু হওয়ায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে নির্বাচনী এলাকার মানুষের মাঝে। গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জোড়েশোরে মাঠে নেমেছেন চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা।

নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। কে হবেন চেয়ারম্যান তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবারের নির্বাচনে বাট্টাজোড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোখলেসুর রহমান জুয়েল তালুকদার ও বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আলমগীর কবির আলমাছকে নিয়ে চলছে অন্যরকম হিসাব নিকাশ। শেষ হিসাবে আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর অবস্থান কি হবে তা নিয়ে চলছে জোড় আলোচনা-সমালোচনা।

বাট্টাজোড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন। সকল প্রার্থীরা সমানতালে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিএনপি দলীয় প্রতীকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র মোড়কে নির্বাচনের মাঠে রয়েছে।

এছাড়াও জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বসে নেই। তাই এবারের নির্বাচনে অন্যরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে।

তবে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীকে জেতাতে কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। প্রতিদিন তারা রুটিন মাফিক নৌকার পক্ষে গণসংযোগ ও ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০১১ সালে বকশীগঞ্জ সদর ও বাট্টাজোড় ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা। নানা কারণে ওই নির্বাচনে জিতে যায় বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীরা। এবার দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে মাঠে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। তাই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে এবার নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমখি হতে হবে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।

এদিকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে কৌতূহল বেড়েই চলছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোখলেসুর রহমান জুয়েল তালুকদারকে ঠেকাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সকল বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

এছাড়াও বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর কবির আলমাছকে ঠেকাতেও কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কিভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে এই দুই ইউনিয়নের ভোটার সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় জানান, আগামি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুলোতে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে সকল নেতা কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দলের ভেতর যেসব সামান্য মান-অভিমান রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে আমরা এই দুই ইউনিয়নে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।