প্রধামন্ত্রীর আস্থাভাজন সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রিয় মন্ত্রীরাই সব সময় প্রভাবশালী হন না। অনেক সময় নানা বাস্তবতা এবং হিসেব নিকেশে একজন মন্ত্রী তার দায়িত্ব পালনে তেমন উজ্জল না হলেও প্রভাবশালী মন্ত্রী হন। ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলী সম্ভবত এর বড় উদাহরন। প্রশ্ন উঠতেই পারে প্রভাবশালী মন্ত্রী বলতে আমরা কি বুাঝি? প্রভাবশালী মন্ত্রী হলেন তিনি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন। মন্ত্রিসভায় তার দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ। যিনি সহজেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরামর্শ নেন এবং প্রধানমন্ত্রীও তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। বাংলা ইনসাইডারের গবেষনায় তৃতীয় মেয়াদ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা হলেন;

১. আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী: লোটাস কামালের অর্থমন্ত্রী হওয়াটা ছিলো একটি বড় চমক। যেকোন সরকারের অর্থমন্ত্রীই প্রভাবশালী এবং প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে আস্থাভাজনদের একজন। তবে মোস্তফা কামাল সব ব্যাপারেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেন বলেই জানা গেছে।

২. আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: দ্বিতীয় মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন সৎ, বিনয়ী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং বিশ্বস্ত। যেকোন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি পরামর্শ করেন। প্রধানমন্ত্রীও সাম্প্রতিক অনেক বিষয়ে তার মতামত নিয়েছেন বলেই জানা যায়।

৩. জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী: বিগত মেয়াদে জাহিদ মালেক ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এই মেয়াদে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি একনেকের স্থায়ী সদস্য এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সদস্য। এই দায়িত্বই বুঝিয়ে দেয় তিনি প্রভাবশালী। মন্ত্রণালয়ের যেকোনো বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজনও বটে।

৪. ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী: নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক। অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় নীতি নির্ধারক ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিল তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তিনি কতটা কর্মচঞ্চল থাকতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে সরকারে যে তার প্রভাব অটুট থাকবে তা হলফ করে বলা যায়।

৫. অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আইনমন্ত্রী: দ্বিতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সৎ এবং ব্যক্তিত্ববান। প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছের এবং বিশ্বস্তদের অন্যতম। প্রায় সব আইনী বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন বলে জানা যায়।

এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে ডা. দীপুমনি, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, নসরুল হামিদও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। তবে, প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তারা এখনও প্রথম পাঁচে নেই বলেই বাংলা সাংবাদিকরা মনে করে।