পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী আটক, আহত অন্তত ১০ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য।

আজকে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একজন পুলিশ এবং বিএনপির অন্তত ১২ জন নেতা-কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছেন পুলিশ। আর এ সময় ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ইশরাক হোসেনসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন। আর এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একত্রিত হতে শুরু করেন এবং পরে সমাবেশ শুরু হয়। এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে প্রায় দুই ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুপুর ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তাটি খালি করে দিতে অনুরোধ জানালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির সমর্থকরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারতে থাকেন। এসময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হন এবং বিএনপির সমর্থকরা প্রেসক্লাবের ভেতর আশ্রয় নেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে আজকে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে দলের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলেন। এতে সমাবেশের শেষপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই তাদের ওপর হামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং দলের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।