পানির বিল বাকী থাকলে বিদ্যুৎ লাইনও কাটা যাবে, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের বেশির ভাগ পৌরসভায় আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ব্যয়ের সঙ্গে আয় না থাকায় একদিকে যেমন পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কাউন্সিলররা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না, তেমনি কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। থেমে গেছে পৌরসভার নিজস্ব উন্নয়ন। 

সম্প্রতি ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রের ঘোষণা হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, “পানির বিল বাকি পড়লে, পানি ও বিদ্যুৎ উভয় লাইন কাটা যাবে। পৌরসভার এখতিয়ার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা ও বিল আদায় করা। আইনগত ত্রুটি থাকলে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

ঘোষণাটিতে এখনও অস্পষ্ট রয়েছে যে, দোকান-বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে নাকি পৌরসভার রাস্তার বাতির সংযোগ? নাকি ঐসব প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক সরবরাহকৃত লাইনসমূহ?

যদি বিদ্যুৎ বিভাগের সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ লাইন হয়, তবে পৌরসভার পানির লাইনের সাথে কি সম্পর্ক যে, পানির বিল বাকি থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে?? এমনটিই প্রশ্ন সচেতন মহলের।

এমন আইন পৌরসভার কোথাও লিপিবদ্ধ আছে? এটা কি কোনো সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন জারি নাকি মনগড়া সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।