খান আশিকুজ্জামান, মোংলা (বাগেরহাট):
প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সুন্দরবনের করমজলে ঘুরতে এসে বিপদে পড়া একত্রিশ পর্যটককে উদ্ধার করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম’র তৎপরতায় গহীন সুন্দরবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ৩১জন পর্যটক পথ খুঁজে পেয়ে লোকালয়ে আসে। এসব পর্যটকদের মধ্যে বৃদ্ধ ও ছোট কিশোররাও ছিলো, যারা অনেকেই এসময়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
কিশোররা জানায়, পথ হারানোর পর তারা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সেখানে তারা বিভিন্ন প্রানীর হাড়গোড় ও বাঘের ছাপ দেখে ভীত হয়ে সর্বশেষ ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে, কর্তৃপক্ষ বিষয়টা মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান। তাৎক্ষনিক মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে আমাদের অভয় দিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমরা তার নির্দেশনায় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হতে পথের দিশা খুঁজে পাই।
কিশোর ফেরদৌস জানায়, তার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। কিন্তু সে জানতো ব্যালেন্স না থাকলেও ৯৯৯ এ ফোন করা যায়। তাই সে বুদ্ধি খাটিয়ে ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চায়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার যোগে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পটে নেমে বনে প্রবেশ করে পর্যটকরা। বনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে তারা বনবিভাগের দেওয়া বেরিকেট অতিক্রম করে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে পথ হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে কিশোরদের মধ্যে ফেরদৌস নামে একজন বুদ্ধি খাটিয়ে তার মোবাইল থেকে ৯৯৯ এ খবর দেয়। সেখান থেকে তারা সরাসরি মোংলা থানায় কথা বলিয়ে দেয়। তার ফোনে চার্জ নাই তাই আমি আরো দুটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এর পর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মিলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ডুকে পড়ছিল।
পরবর্তীতে স্থানীয় বন কর্মকর্তা আজাদ কবিরও সহায়তা করেন এবং তারা বিকেল নাগাদ ট্রলার যোগে মোংলা ঘাটে এসে পৌঁছালে তাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছানোর সহযোগীতা করেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম।