নানীর মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল নাতির

তনুজা শারমিন তনু,দিনাজপুর প্রতিনিধঃ ননীর মরদেহ ঢাকা থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরছিলেন নাতি হৃদয় মাহিন আলভি(২৩)। পথে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে চালকের পাশে বসে থাকা আলভির মৃত হয়।

শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরশহরের নূরজাহানপুরে এদূর্ঘটনা ঘটে। হৃদয় মাহিন আলভির(২৩) বাড়ি দিনাজপুর সদরের বালু বাড়িতে। তিনি ওই এলাকার মেফতাহুল রহমানের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন লাশবাহী গাড়িটির চালক মিঠুন মিয়া (৩৫)। তিনি ল্যাব এইড মেডিকেলের লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীর চালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলভি অ্যাম্বুলেন্সে করে দাদীর মরদেহ নিয়ে দিনাজপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি ঘোড়াঘাটের নূরজাহানপুরে পৌঁছালে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা এসে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অংশ থেকে আলভি ও চালক কে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক আলভিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে নানি ও নাতির মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।নিহত আলভির চাচা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) শফিকুর রহমান বলে জানা গেছে।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার বলেন, মহাসড়কের পাশে দিনাজপুর মুখী একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। লাশবাহী গাড়িটি নুরজাহানপুর নামক স্থানে পৌঁছালে থেমে থাকা ট্রাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। লাশবাহী গাড়িতে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর মরদেহ ছিল।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবকের মরদেহ পরিবার দিনাজপুরের নিয়ে গেছে। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।