নরসিংদী শিবপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

মো.শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী জেলার শিবপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। রবিবার(১৮ ফেব্রæয়ারী) শিবপুর সাররেজিষ্ট্রি অফিসে এ চানঞ্চল্য ঘটনাটি ঘটে। দলিল গ্রহিতা মনোয়ারা আক্তার জানায় চন্দন দিয়া মৌজার আর এস ৬৮ নং দাগে ৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করতে শিবপুর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে আসেন তিনি। এসময় দলিল লেখক মিয়ার উদ্দিনের সাথে দেখা হয় তার। জমির মুল্য ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হলেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দলিলের মুল্য দেখিয়ে সাবরেজিস্ট্রারকে ঘোষ দেওয়ার কথাবলে রেজিস্টি খরচ ৪০ হাজার টাকা নেয়।

দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর গ্রহিতার নিকট আরো ১০ হাজার টাকার জন্য চাপাচাপি করতে থাকলে পরে আরো ৩ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি নেয় গ্রহিতা। বিষয়টি সাবরেজিস্টার মো.মাহবুব হোসেনকে জানানোর জন্য গনমাধ্যম কর্মীসহ দেখা করতে চাইলে দীর্ঘ ১ ঘন্টা বসে থাকার পরও দেখা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে গ্রহীতা ছাড়া দেখা করার অনুমতি পেয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা উক্ত ঘটনা বলার পর দলিলেল কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি তিনি। পরে তার কাছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার রেজিস্ট্রি খরচ উৎস কর কত জানতে চাইলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে রাজি হয়নি।

একটি সুত্র জানায় জমিটি যেহেতু ইউনিয়নের মধ্যে সেহেতু উৎস কর ২ পারসেন্ট,৩৬০০ টাকা, স্টাম খরচ দেড় পারসেন্ট ২৭০০/ টাকা,রেজিস্ট্রি ফি দেড় পারসেন্ট ২১৪০ টাকা,স্থানীয় সরকার তিন পারসেন্ট ৫৪০০ টাকা মোট ১৩৮৪০ টাকা খরচ হওয়ার কথা থাকলেও রেজিস্টি খরচ নেয় ৪৩ হাজার টাকা এর পরও দলিল লেখককে খুশি করতে পারেনী দলিল গ্রহিতা। দলিল গ্রহিতারা জানায় সাররেজিস্টার মো. মাহবুব হোসেন গত জানুয়ারীতে এই অফিসে যোগদান করার পরথেকেই দলিল লেখকরা উনার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিলেও তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। পরে ঐ অফিসের কর্মরত ক্যাশব নামে একজন জানায় উক্ত দলিলটি আতাউর রহমান মোল্লা সনদ নং ৪২ তিনি দলিলটি করেছেন বলে জানান তিনি।

প্রতিদিন এই অফিসে ৫০/৬০ টি দলিল থেকে রেজিস্ট্রির নামে অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাবরেজিস্ট্রারসহ সংশিষ্টরা। এসব বিষয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন। এসব অভিযোগের বিষয়ে শিবপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গনমাধ্যম কর্মীদের মুকুল মৃধা বলেন, কোনো অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়না।

এলাকায় জমি রেজিস্ট্রির জন্য এক লাখ টাকার দলিলের জন্য সরকার নির্ধারিত টাকা নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিবপুর সাব–রেজিস্ট্রিারার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকার নেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।তিনি আরও বলেন, কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি ব্যবস্থা নেব। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিধার্রিত খরচের বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।