নওগাঁয় মৎস কর্মকর্তার দুর্নীতি: দাবী দরিদ্র মৎস্যজীবী হামিদের/ আদালতে মামলা, দুদক’র তদন্ত

এস.এ বিপ্লব, ভ্রম‍্যমান প্রতিনিধি- গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নওগাঁয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মেদ মৎস্য অধিদপ্তরের আরডি প্রকল্পের আওতায়- জলাশয় সংস্কার প্রকল্পসহ এনএটিপি-২ ( NATP-2 ) সিআইজি ( CIG ) নামক বিভিন্ন প্রকল্পের সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ জেলেদের ও খেটে খাওয়া হতদরিদ্র দিনমজুর জনগোষ্ঠীর হক পয়মাল করে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় ৩ কৌটি ৫৫ লক্ষ টাকা সুকৌশলে আত্মসাত করেছে এই মর্মে অভিযোগ এনে মোঃ আব্দুল হামিদ মন্ডল নামে নামক একজন সাধারন মৎস্যজীবী (জেলে) নওগাঁ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধির আইনে ৪০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধে আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে, বাদী মোঃ আব্দুল হামিদ মন্ডল নিজেকে একজন সাধারন মৎস্যজীবী দাবি করে নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মেদ কে একজন দুর্নীতি পরায়ন, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও সাধারণ হতদরিদ্র জেলেও দিনমজুর জনগোষ্ঠীর নামে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ কারী হিসেবে উলে­খ করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বাদি আরও তুলে ধরেন, গত ২০১৮-২০১৯ আর্থিক সালে নওগাঁ সদরসহ সমগ্র জেলায় আর,ডি প্রকল্পের মোট ২৩টি পুকুর, খাল -বিল, পুনঃখননেরর জন্য ৩ (তিন) কৌটি টাকা বরাদ্দ হয়। প্রকল্পের পরিচালক মহোদয় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী দাঁড়া মাটির কাজ করার জন্য প্রতি বরাদ্দের কপিতে বরাদ্দকৃত টাকা শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিশোধের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন, যা বরাদ্দের কপিতে উলে­খ আছে। কিন্তু কোন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে স্কেভেটর/ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ চলিতেছে।

উলে­খ্য, উক্ত সময় এ বিষয়টি নিয়ে দরিদ্র জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হলে, বিষয়টি গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌছে যায়। এবং সেসময় গণমাধ্যমকর্মীদের সরেজমিনে তদন্তে অভিযুক্ত বিষয়টি দেখতে পান যে, সরকারি নির্দেশনা ‘ দরিদ্র জনশক্তি ব্যবহারে জলাশয় সংস্কারের নির্দেশনা’ থাকলেও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ সরকারের নির্দেশনা কে তোয়াক্কা না করে জনশক্তির পরিবর্তে ‘ভেকু’ মেশিন দ্বারা খনন কাজ করছেন।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে গত বছর – দৈনিক জনকণ্ঠ, প্রতিদিনের সংবাদ, যায়যায়দিন সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ আকারে ছবি সহ প্রকাশ পায়।

ওদিকে আদালত কর্তৃক মামলার তদন্তভার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা কার্যালয় রাজশাহীকে অর্পণ করা হয়। যা পরবর্তীতে সরদার আবুল বাশার, উপ-সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীকে তদন্ত অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
২০১৯ সালের ২৫শে এপ্রিল তদন্তের ভার গ্রহণ করলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রায় এক বছর পর তদন্তে আসেন সরদার আবুল বাশার। এই দীর্ঘ সময়ে সরদার আবুল বাশার অভিযুক্ত নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ এর পক্ষপাত করায় অভিযোগ তোলেন মামলার বাদী আব্দুল হামিদ।

এ বিষয়ে মামলার বাদী দরিদ্র মৎসজীবি আব্দুল হামিদ বলেন, হামি মামলা করিছি ‘এটি শ্রমিক (জনশক্তি) না লিয়া ভেকু মেশিন দিয়া কাজ করিছে, আর ‘এল.সি.এস’ কমিটির সবাই এক পরিবারের সদস্য ছিলো’ অল­া তদন্ত করবে। তা নাকরা মাপ-যোগ করোছে কিশক।