এস. এ বিপ্লব, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি- নওগাঁ শহরে এক বাসা বাড়িতে চুরি করতে এসে বাড়ির মালিকের বাধার সম্মুখীন হয়ে ওই বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে চোর। আহত গৃহকর্তা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, শহরের চকবাড়িয়া এলাকায় মোলা রুহুল কুদ্দুস নামের এক সরকারি কর্মচারীর বাড়িতে রবিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত প্রায় সোয়া ১টায় সিঁড়িঘরের অস্থায়ী দেয়াল ভেঙে এক চোর ভেতরে প্রবেশ করে। আরো কয়েকজন বাইরে অবস্থান নেয়। চোর ভেতরে প্রবেশ করলে কুদ্দুসের মেয়ে আঁখি দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় ওই চোর তাকে ছুরিকাঘাত করে। হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে দুই হাতের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাহত হয় আঁখি। তাকে রক্ষা করতে গেলে তার বাবা কুদ্দুসের গলার নিচে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে চোর। এর পর চোর সিঁড়িঘরের ভাঙা অংশ দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় কুদ্দুসের স্ত্রী মাহফুজা বেগম চোরের দুই পা ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বাইরে অপেক্ষারত চোরেরা মাহফুজা বেগমকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে। এতে তিনি চোখ এবং মুখমণ্ডলে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন।
চোর দ্রুত সিঁড়িঘরের ভাঙা দেয়াল দিয়ে পালিয়ে গেলে প্রতিবেশীরা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে রাতেই কুদ্দুসকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। মাহফুজা বেগম এবং মেয়ে আঁখি বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সদর মডেল থানার ওসি জানান, একজন চোর সন্ধ্যারাত থেকেই সুযোগ বুঝে বাড়ির মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে অবস্থান করছিল। কিন্তু সিঁড়িঘরের ভাঙা দেয়ালের ইটগুলো যেহেতু পাশের বাড়ির সানসেটে সাজানো ছিল সেহেতু ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার সময় পরিকল্পিতভাবে দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।