দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে দুই ডর্জনের অধিক প্রার্থীর আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আবেদনপত্র দাখিল।

রোজী আক্তার হ্যাপি, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে দুই ডর্জনের অধিক প্রার্থীর আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আবেদনপত্র দাখিল করার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের দুর্দিনে ত্যাগী নেতাকর্মীরাও রয়েছে। সেই সকল ত্যাগী নেতাদেরকে মনোনয়ন বোর্ড কি ভাবে মূল্যায়ন করবেন। সেটা দেখার জন্যই আওয়ামীলীগের দুর্দিনে ত্যাগী নেতা মো: শফিকুল আলম বাবুল খান গত ২১ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে ২২ নভেম্বর জমা দিয়েছেন। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজে মনোনীত না হলে মনোনয়ন বোর্ড যাকে চুড়ান্ত করবেন, তার হয়েই নৌকা মার্কার জয়ের আশা করেন।
ত্যাগী নেতা দাবী করতে গিয়ে শফিকুল আলম বাবুল খানের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক পরিচিতিঃ

ক. ১৯৮৩-১৯৮৬ আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।

খ. ১৯৮৭-১৯৮৮ সিনিয়ার সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।

গ. ১৯৮৯-১৯৯১ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

ঘ. ১৯৯৩-১৯৯৮ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

ঙ. ১৯৯৮-২০০৩ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

চ. ২০০৩-২০১২ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

ছ. ২০১২-২০২৩ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

জ. বর্তমানে ০১নং সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।

ঝ. ভাইস চেয়ারম্যান কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ। তিনি আরো বলেন, ২০০৩ সাল পর্যন্ত কয়েকবার দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম প্রায় ২০ বছর। আওয়ীমী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ২০ বছর ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে অর্ধশত মিথ্যা মামলায় অতীত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিপিড়িত নির্যাতিত হই।

একাধিকবার ডিটেনশনসহ জেলহাজতে কারাবাস ছিলাম। ১/১১’র গণতন্ত্রে মানসকন্যা দেশ রত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করে, সেময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পটুয়াখালী জেলায় তার মুক্তির জন্য বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলন করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়, এবং পরবর্তী সময় গ্রেফতার হই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক কারনে আমি আমার বাবা মায়ের মৃত্যু দেখতে পারিনি। কারন আমার বাবা মায়ের মৃত্যুর সময় জেলখানায় ছিলাম।