দুলুফার বেঁচে থাকার আকুতি, সাহায্যের জন্য আবেদন

ফরিদ আহম্মেদ, সরিষাবাড়ি (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের মোঃ দুদু মিয়ার মেজো মেয়ে দুলুফা আক্তার দীর্ঘদিন pain in the left hip joint(উভয় পায়ের হিব জয়েন্টে ব্যাথা) নামক রোগে ভুগছেন।

অসুস্থ দুলুফা পোগলদিঘা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার মোঃ দুদু মিয়ার সংসারের চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় । অচ্ছল পরিবারের আয়ের একমাত্র যোগান দাতা মোঃ দুদু মিয়া খুব কষ্টে সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করেন সিঙ্গারা,জিলাপি। সারাদিন বিক্রি করে যা পান তা দিয়ে চালাতে হয় তার সংসারের খরচ। করোনার কারনে সব কিছু বন্ধ থাকায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সংসার চালাতে। এ অবস্থায় দুঃখের যেন কোন কমতি নেই তার অভাবের সংসারে।

মেজো মেয়ে দুলুফার বিয়ে দেন পার্শ্ববতী সরিষাবাড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা গুয়াখড়া গ্রামের পেশায় কাঠ মিস্ত্রি মোঃ আল মামুনের সাথে।বিয়ের কয়েক বছর পরে ২ সন্তানের মা হন দুলুফা আক্তার।হঠাৎ করে পায়ের হিব জয়েন্ট ব্যাথা নামক রোগে আক্রান্ত হন দুলুফা আক্তার । নানা চিকিৎসার মাধ্যমে কেটে যায় তার জীবনের ছয়টি বছর। এক বৎসর যাবত পড়ে আছেন বিছানায়। এদিকে অভাবের সংসারে তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। সব কিছু বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে বাম পায়ের অপারেশন করান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রবের কাছে গত মে মাসে রাজধানীর ধানমন্ডি -৩২, কলাবাগান রোডে অবস্থিত মেডি এইড হাসপাতালে।এখন ডান পায়ের অপারেশনের জন্য প্রয়োজন আরো দু’ লক্ষ ষাট হাজার টাকার।

বর্তমানে বাড়ী জুড়ে সম্বল তাঁর বাবার ভিটেমাটি।
দু সন্তানের মা দুলুফার আকুতি, “আমি বাঁচতে চাই! দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন আমার।আল্লাহর উপর ভরসা রেখে সাহায্যের জন্য আকুতি করছি।আপনাদের পবিত্র দান,সাহায্য বাঁচাবে আমার প্রাণ।আমি সুস্থ না হলে আমার বাবা-মা’ও মারা যাবেন।ভেঙে যাবে আমার সব স্বপ্ন।দয়া করে আমাকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন,আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।আমি সুস্থ হয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।মানুষের মাঝে থাকতে চাই।”

আপনাদের সকলের সাহায্য ফিরিয়ে দেবে দুলুফার প্রাণ,বাঁচিয়ে রাখবে একটি পরিবারকে। আপনার সাহায্য বা কথা বলার প্রয়োজনে দয়াকরে মোবাইল নাম্বার লক্ষ্য করুন 01954134399 (বিকাশ পার্সোনাল)।