দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ‘প্যাসেঞ্জার’ হয়ে থাকতে চান না সাকিব

এই আমার দেশঃ

তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। তার আগে দুই ফরম্যাটের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দুই সংস্করণের দলেই নাম আছে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তবে শেষ মুহূর্তে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চান না তিনি।

আজ সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে মোহামেডানের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর ব্যক্তিগত কাজে দুবাই যাওয়ার কথা সাকিবের। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে সাকিব জানান, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি নিতে চান তিনি।

সাকিব বলেন, `দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে বলতে হয়, আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছি, মনে হয় না আমার পক্ষে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। আমি যদি একটা ব্রেক পাই, যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই, তাহলে আমার জন্য খেলাটা সহজ হবে। কারণ আফগানিস্তান সিরিজে আমার মনে হয়েছে আমি একজন প্যাসেঞ্জার। আমি যেটা হয়ে কখনই থাকতে চাই না।’

সাকিবের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট খেলা নিয়ে আগেই দোটানা ছিল। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সাকিব সেখানে ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টও খেলবেন। এরপর দুই ফরম্যাটেই আসে সাকিবের নাম। তবে আফিগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি চাচ্ছেন সাকিব। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান। বোর্ড অবশ্য সাকিবের বিষয়টি নিয়ে সময় চেয়েছে।

সাকিব বলেন, ‘আমি খেলাটা (আফগানিস্তান সিরিজ) একদমই উপভোগ করতে পারিনি, পুরো সিরিজটাই– টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু হয়নি। আমার মনে হয় না, এমন মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলাটা ঠিক হবে। আমি এ কথা জালাল ইউনুস ভাইয়ের সাথেও আলাপ করেছি। জালাল ভাই বলেছেন, দুই দিন উনিও চিন্তা করবেন। আমাকেও চিন্তা করার সময় দিয়েছেন।’

সঙ্গে যোগ করেন সাকিব, ‘এখন পর্যন্ত যদি আমার মন মানসিকতা থাকে, শারীরিক অবস্থা থাকে, তাহলে এটা দলের জন্যই ক্ষতি হবে। যেটা আগেও বললাম, আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা যদি আমি পূরণ করতে না পারি, তাহলে দলে থাকাটা খুবই দুঃখজনক হবে। এটা আমার টিমমেটদের সঙ্গে চিট করার মতো হবে।’