তারেককে বাদ না দিলে জঙ্গি সংগঠন হবে বিএনপি?

নিজেস্ব প্রতিবেদক : তারেককে বাদ না দিলে জঙ্গি সংগঠন হবে তারেক জিয়াকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারেক জিয়াকে যদি দলের নেতৃত্ব থেকে বাদ না দেওয়া হয় তাহলে বিএনপিকেই একটি তালিকাভূক্ত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত দুই দিনে তারেককে নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কাছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। এসব তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, তারেক জিয়ার এখনো জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনকে সহযোগিতা, পৃষ্টপোষকতা এবং মদদ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ বিস্তারের জন্য তারেক জিয়া অর্থায়ন করছে বলে স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জঙ্গি হামলা ঘটিয়ে সরকার পরিবর্তন বা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার পরিকল্পনার সঙ্গে তারেকের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন মার্কিন দূতাবাসের হাতে বলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ভারতও মনে করছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করার জন্য তারেক জিয়া ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত করছেন। এজন্য বিএনপির তিনজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ডেকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তারেকের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের কাছে এরকম তথ্য রয়েছে যে, তারেক জিয়া আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্র এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিএনপির অন্তত তিনজন নেতাকে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে ডেকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, তারেক জিয়া কিভাবে দলের নেতৃত্বে থাকে এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে থাকার যৌক্তিকতা কতটুকু? একই সঙ্গে তারা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদকে লালন করা এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা, বিশ্বে অবৈধ মাদক এবং অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্বন্ধে তথ্যাদি দিয়েছে। যদিও এই তিন নেতাই বলেছেন যে, এই বিষয়টি নিয়ে কোন কিছু করার নেই। তারেক জিয়াকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার ক্ষমতাবলে এই দায়িত্ব তিনি তারেক জিয়াকে দিয়েছেন। কাজেই এখানে তাঁদের কিছু করার নেই। কিন্তু দুইপক্ষ থেকেই বলা হয়েছে যে, তাঁরা যেন এই বার্তাটি হাইকমান্ডকে জানিয়ে দেন, তারেককে জানিয়ে দেন এবং সেটা যদি তাঁরা না করতে পারে তাহলে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা বা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেরকম আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করবে। এ ব্যাপারে বিএনপি একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বহুদিন ধরেই তাঁদের সঙ্গে দাতাদের সমস্যা চলছিল। যেহেতু তারেক জিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা স্থায়ী কমিটিরও নেই বা অন্যকারও নেই তাই এই বিষয়টি নিয়ে তাঁদেরকে বলার কিছু নাই। উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের আগে বিএনপি পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের দল ভারত সফর করলে সেখানেও তারেককে নিয়ে আপত্তি করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে তারেকের ব্যাপারে তাঁদের আপত্তি উত্থাপন করে। কূটনৈতিক প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মূলত তারেককে নিয়ে আপত্তির কারণেই বিএনপির এই রাজনৈতিক কর্মসূচি বা আন্দোলন সংগ্রামে কোন দূতাবাস সমর্থন দিচ্ছে না। এমনকি ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ থাকা স্বত্বেও তারেকের কারণেই সেই অভিযোগগুলো নিয়ে বিএনপির পাশে দাড়ায়নি কোন কূটনীতিকরা। এখন যেসমস্ত তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়েছে তারপরও যদি তারেক জিয়াকে সরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে হয়তো বিএনপির ভাগ্যে আরও করুণ পরিণতি জুটতে পারে।