তানোরে রাব্বানী-মামুনকে ঘিরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া

আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহীর তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (দায়িত্বহীন) গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এবং মেয়র সাইদুর রহমানকে নিয়ে দলের নেতাকর্মীসহ জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। জানা গেছে, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনিত হয়েছেন। গত ১লা ডিসেম্বর তিনি ব্যক্তিগতভাবে টুঙ্গিপাড়া সফর ও
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পুস্পস্তবক অর্পনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় পেছনের সারিতে রাব্বানী-মামুন ও সাইদুর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিকে এই ছবিতে এসব বিতর্কিতদের অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় ও এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে। তৃণমুলের ভাষ্য, যেখানে দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছে, যারা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছে ও যারা তাদের মদদ দিয়েছে তারা আর কখানোই আওয়ামী লীগে থাকতে পারবে না। তাহলে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যর কর্মসুচিতে এরা কিভাবে অংশগ্রহণ করে, এটাতো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ দলীয় প্রধানের বক্তব্যর অবমাননা করার সামিল-? এবিষয়ে সিটি মেয়র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার একটি ঘনিষ্ঠ সুত্র জানান, এসব বিতর্কিতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তারা কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।
স্থানীয়রা বলছে, এরা তানোর উপজেলার বাসিন্দা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। কিন্ত্ত দলের সঙ্গে বেঈমানী, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন, বেকারদের চাকরি ও দলীয় পদ পদবির প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ, দলবিরোধী ষড়যন্ত্র, অনিয়ম-দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার, জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ইউপি নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিপক্ষে কাজ করে এলাকায় এরা জনবিচ্ছন্ন ও গণদুসমনে পরিণত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে, রাব্বানী-মামুন সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী খরচ মেটাতে বিভিন্ন এলাকার বিত্তশীলদের কাছে থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে হজম করেছে। এসব পাওনাদারের হাত থেকে বাঁচতে তারা কৌশলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ফটোশেসন ও ফেসবুকে আপলোড দিয়ে প্রচারের চেস্টা করছে তারা এখানো দলে অপরিহার্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে রয়েছে, যাতে পাওনাদারের একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। তানোর উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এরা কোন মুখে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যান বুঝে আসে না, যাদের দলের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে তারা কোন মুখে এসব করে এর মধ্যে হয় তো কোন না কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রয়েছে।
রাজশাহী-১ (তানোর -গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তারা নৌকার সঙ্গে বিদ্রোহ করে পদ পদবি বা একুল ওকুল দুকুল হারিয়ে জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছে, তবে আমার দৃঢ বিশ্বাস একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য কখনো বিদ্রোহীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে গোলাম রাব্বানী, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাইদুর রহমানের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।