ঝিনাইদহে মোদাচ্ছের হত্যা মামলার ১১ আসামি পুলিশের হেফাজতে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোদাচ্ছের নামের একজন নিহতের ঘটনায় সদর থানায় ১৯ জন সহ অজ্ঞাত ১০/১৫কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী মঞ্জুরা খাতুন।শুক্রবার শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি বাসা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন পুলিশের কাছে নিজেদের সোপর্দ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই সকাল ৭টার দিকে গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মসজিদের সামনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মোদাচ্ছের হোসেনকে। নিহত মোদাচ্ছের ঐ গ্রামের মৃত শুকুর আলী বিশ্বাসের ছেলে ও সামাজিক দল ইবনে মিলন গ্রুপে সদস্য। ৩১ জুলাই ধারা ১৮৬০ সালের ১৪৩/৩২৩/৩২৪/১২৬/৩০৭/৩০২/৩৪/১৪ পেনাল অনুযায়ী মামলা রেকর্ড হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয় নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই অমিত কুমার দাস।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ ও সদর সার্কেল আবুল বাশার স্যারের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় শুক্রবার সকালে এই অভিযান পরিচালানা করা হলো। এজাহার নামীয় ১৯ আসামির মধ্যে ১১জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি বাড়ি থেকে এজারের আসামি ৯। মোঃ মনোয়ার পিতা ছাত্তার,১০। ডলার হোসেন পিতা ওমর,১১। মিল্টন পিতা খালেক মোল্লা,১২। মকিদ পিতা সদর উদ্দিন,১৩। শাহিনুর পিতা আবু শেখ,১৪। তাজমুল পিতা তোতা, ১৫। তোতা মোল্লা পিতা মোম মোল্লা,১৬। বাপ্পি পিতা আহমেদ, ১৭। আশরাফ পিতা সোনা মোল্লা,১৮। মোঃ তারিক পিতা সোনা মোল্লা ও ১৯ মাহফুজ হোসেন পিতা অলিয়ারকে হেফাজতে নেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস। এই অভিযানের সময় সদর থানার ওসি আবুল খায়ের ও পিএসআই সিরাজুল ইসলাম সহ উপস্থিত ছিলেন।

গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মুকুল জানান, আদালত খোলা থাকলে মামলার অন্যান্য আসামিরাও আত্মসমর্পণ করতো। আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নিজেদের সোপর্দ করলো।মামলায় এখনও পলাতক রয়েছে ১। জাফর মোল্লা,২। ওমর মোল্লা,৩।জাহিদুল ইসলাম,৪। শাহিনুর রহমান,৫। মনছুর মোল্লা,৬। জাহিদুল ইসলাম,৭। বছির বিশ্বাস ও ৮। রিয়াজ বিশ্বাস।