জাপার রাজনীতি দলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠন : জি এম কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বাসভবনে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু এইচ এম এরশাদের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্য মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্বার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।

তিনি বলেন, সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ জাতীয় পার্টির দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে রয়েছে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন জাপা চেয়ারম্যান।

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
‘কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আগ্রহী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদেরকে সঙ্গে নিয়ে জোরালো চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার অগ্রগতি করতে পারতো সরকার। কিন্তু সরকারের তৎপরতা বরাবরই নির্বিকার। ইতোপূর্বে কয়েবার কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর খবর প্রচারিত হলেও এর কোনো বাস্তব প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়নি। ‘লিপ সার্ভিস’ ছাড়া এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারেরই বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সামর্থ থাকে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এক অন্ধকার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশার মধ্যে রোহিঙ্গারা হাবুডুবু খাচ্ছে। বেশ কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশ থেকে বিতাড়িত ও গৃহহীন রোহিঙ্গাদের ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে। এই কারবারের সাথে ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতার কথাও সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়ন, ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধ করে তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তাসহ অবিলম্বে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলোর সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাসমূহ, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার গ্রুপ ও এনজিও তথা সকল পক্ষকে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে বলে বিভিন্ন দেশ যে মত প্রকাশ করেছে, সেটির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করে ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে ভূমিকা পালনকারী সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে জোরালোভাবে তৎপরতা চালানোর জন্য আহবান জানাচ্ছি।