ছাগল বেধে রাখায় গৃহবধূর আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছাগল বেধে রাখায় খাদীজা বেগম নামে এক গৃহবধূকে মারধর অতপর বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাগলের মালিক আবু তালেবের ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। আহত ওই গৃহবধূর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এদিকে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও ওই এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে নূরল ইসলাম ও শাশুড়ি আমিনা বেগম হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।সোমবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত নুরল ইসলাম।সোমবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত নুরল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির সামনে শসা আবাদ করেছি। সেই শসা ক্ষেতে ওই এলাকার জোনাব আলী মুন্সির ছেলে আবু তালেবের ছাগল এসে শসার গাছ ও শসা খেয়ে ফেলে তা দেখে আমার স্ত্রী খাদিজা ছাগলটি ধরে বেধে রাখে। এ সময় আবু তালেব, তার ছেলে সাইয়াকুল, কুদ্দুস আজিজ আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। এতে তাদের সাথে আমার স্ত্রীর বাক বিতন্ডা লাগে। আমি বাড়ির পাশের ক্ষেতে ধান কাটতেছিলাম।তিনি আরও বলেন, চিল্লাচিল্লি শুনে সেখানে এসে বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ হয়ে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং আমার স্ত্রী ও আমার মাকেও বেধড়ক মারধর করে। এ সময় ধারালো চুড়ি দিয়ে আমার স্ত্রীর ডান হাতে বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলে আবু তালেবের ছেলেরা। পরে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এতে আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।এ বিষয়ে জানতে বেশ যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।