চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা ভোট: এমপি সেলুনের ভাই হেরেছে, এমপি টগরের ভাই জিতেছে, চার উপজেলায় নৌকা ১, স্বতন্ত্র ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪টি উপজেলা। এর মধ্যে সদর উপজেলায় জেলা আ্ওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন এমপির আপন ভাই রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন আ্ওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আ্ওযামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসদুল হক বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়ে্ছন। মি: বিশ্বাস ইতোপূর্বে পরপর দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। পরপর টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে তিনি হ্যাট্রিক করলেন। এবারে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ২ ভোট পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে টোটন চয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থী্ ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

অন্যদেকি, চুয়াডাঙ্গা দুই আসনের এমপি হাজী আলী আজগর টগরের আপন ভাই আলী মুনসুর বাবু দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ্ওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আ্ওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী উপজেলা আ্ওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন। মি: বাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ৪১ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে্ছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মি: ঝন্টু পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৮৬ ভোট।

এ জেলার 4টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার একটিতে নৌকা এবং বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ুব আলী আনারস প্রতীক নিয়ে ৫১ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্ববায়ক নৌকার প্রার্থী জিল্লুর রহমান ৪১ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়েছেন।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোর্তুজা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ২৬ ভোট পেয়েছেন। আ্ওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু লতিফ অমল কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসেননি।

রোববার ২৪ মার্চ রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে সকাল থেকে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৩৮টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে এ ভোটগ্রহণ।