উল্লেখ, শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের বৃত্তিপাড়ার একটি আম বাগানে বন্ধুরা মিলে খেলা করছিলো ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন, জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ সহ বেশ কয়েক জন। এ সময় জাহিদ ৩০টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কিনার পর অবশিষ্ঠ থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকী টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে। এসময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন পালিয়ে এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে আম বাগানে ইয়ামিনের গলা কেটে জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার ,দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।গত শনিবার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদরহাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় দামুড়হুদা মডেল থানায় ইয়মিন হোসেনের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে জাহিদ হাসান সহ ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে । সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাকে আটক করেছে।