চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুরের আলি বিশ্বাস এর হজ্জ্বযাত্রা

মেসবাহ উল হক জোয়ার্দ্দার: ১৯৬৭ সালে তার বয়স ছিলো ৫৯ বছর। ওই বছর হজ্জ্বব্রত পালন করতে চট্টগ্রাম হতে এম. ভি. সাফিনা-ই-আরব জাহাজযোগে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে গিয়ে নামেন হেজাজের জেদ্দা বন্দরে।

এম. ভি. সাফিনা-ই-আরব জাহাজ

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের হজ্জ্বযাত্রী পরিবহনের জন্য করাচির প্যান-ইসলামিক স্টীমশিপ কোম্পানির মালিকানাধীন স্পেনে নির্মিত এই জাহাজটি চালু হয় ১৯৬২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যাতে ১২৯৪ জন যাত্রী সংকুলান হতো।
আলি বিশ্বাসের ১৯৬৭ সালের পিলগ্রিম পাস

এর পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তানের হজ্জ্বযাত্রী পরিবহনের জন্য চালু হয়েছিলো এম.ভি. সাফিনা-ই-হাজ্জাজ জাহাজ যাতে পরিবহন করা যেতো ২৭০০ যাত্রী। ওই সময় পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ৫ কোটি যা ছিলো সারা দেশের ৫৪%। অথচ হজ্জ্বযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে ছিলো মাত্র ৩২% আসন।
আলি বিশ্বাসের ১৯৬৭ সালের পিলগ্রিম পাস

উল্লেখ্য পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি এটা ছিলো বৈষম্যের আরেক রূপ।
আলি বিশ্বাসের ১৯৬৭ সালের পিলগ্রিম পাস

যাহোক কুতুবপুরের কফিল উদ্দিন বিশ্বাসের পুত্র জনাব আলি বিশ্বাস ওই বছর হজ্জ্বে গিয়েছিলেন এম. ভি. সাফিনা-ই-আরব জাহাজযোগে যা দৈর্ঘে ৪৬১ ফুট ও প্রস্থে ছিলো ৬০ ফুট।
আলি বিশ্বাসের ১৯৬৭ সালের পিলগ্রিম পাস

জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ১৫ নট অর্থাৎ সোয়া ১৭ মাইল। ওই জাহাজে চট্টগ্রাম হতে জেদ্দা বন্দরে যেতে সময় লাগতো প্রায় ২০ দিন। উল্লেখ্য ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাহাজটি ব্যবহার্য ছিলো বলে জানা যায়।