চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর কাছ থেকে জোরর্পূবক টাকা নেওয়ার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেটে ভরপুর ও স্বেচ্ছাসেবকদের বিরূদ্ধে রয়েছে নানান রকম অনিয়মের অভিযোগ। প্রতিনিয়ত সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনসাধারণ। প্রকাশ্যে এ সকল অনিয়ম হলেও দেখার কেউ নেই। রোগীরা চিকিৎসা নিতে গেলে নানান রকম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেকের। অভিযোগ ইনজেকশন থেকে শুরু করে সকল সেবায় গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। টেষ্ট এর নাম করে টাকা আদায়সহ যে কোন সেবা প্রত্যাশীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দালাল সিন্ডিকেট ও স্বেচ্ছাসেবক দের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে সেলিম আহমেদ নামে এক দিনমজুর হাসপাতালে ভর্তি হলে পায়ে সেলাই দেওয়ার নাম করে ১ হাজার ৯শত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় সেলিম আহমেদ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সদর হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবক উজ্জল , রফিকুল ইসলাম, অফিস সহায়ক স্বেচ্ছাসেবক ইকবালসহ ইমারজেন্সিতে কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবক দলেরা। সেলিম হোসেন অভিযোগ করে বলেন উজ্জল হোসেন। রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন ইমার্জেন্সিতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকরা গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে স্বেচ্ছাসেবকরা আমাকে বলে আপনার কাটা স্থানে সেলাই দিতে হবে। এবং অগ্রিম টাকা দিতে হবে। আমি তখন আমার সেলাই এর খরচ জানতে চায় তখন স্বেচ্ছাসেবক আমাকে বলেন ১হাজার ৯শত টাকা প্রদান করতে হবে। তখন আমার কাছে কোন প্রকার টাকা ছিলো না। আমার সাথে থাকা সহকর্মীদের কাছে অনুরোধ করলে তারা সবাই কিছু কিছু টাকা দিয়ে মোট ১হাজার ৫শত টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে এই টাকায় তারা অপারগতা প্রকাশ করেন, ও বিবাদীরা আমাকে ৪০ মিনিট হাসপাতালে বসিয়ে রাখে অনুয় বিনয় করার পরেও। পরবর্তীতে জীবন আহমেদ শামীমসহ কয়েকজন আমাকে এই অবস্থায় দেখে অনুরোধ করলে ১হাজার ৫শত টাকা গ্রহণ করে বিবাদীরা এবং আমার ক্ষত স্থানে সেলাই করেন। এ ঘটনায় সেলিম আহমেদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনসহ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় জীবন আহমেদ শামীম বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত অনিয়ম বেড়েই চলেছে। সদর হাসপাতাল এখন দালাল সিন্ডিকেটে ভরপুর। অতিরিক্ত টাকা না দিলে কেউ সেবা পায় না। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ ঘটনায় ৩ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।