চট্টগ্রামে ফের বিক্ষোভ করেছেন তিনটি কারখানার শ্রমিকরা।

মোঃ মাহাবুব আলম চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান:

আজ ১০ জানুয়ারী বুধবার আবার চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) ভেতরে গতকাল মঙ্গলবার ও তারা সকাল ৯টা থেকে বিক্ষোভ করেন বলে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান জানান।

কারখানার কর্মীরা জানান, সরকার ঘোষিত নতুন কাঠামোয় বেতন না হওয়ায় শ্রমিকরা সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রথমে প্যাসিফিক জিন্স কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাসে তারা কাজে ফিরে যান। এরপর সাত নম্বর সেক্টরের জে জে মিলসের শ্রমিকরা নতুন কাঠামোয় বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে মেরিগো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সড়কে অবস্থান নেয়।

জে জে মিলসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “নতুন বেতন কাঠামোয় শ্রমিকদের বেতন হওয়ার পর অনেকেই কম বেতন বেড়েছে মনে করে বিক্ষোভ করে। এখানে সিনিয়র ও জুনিয়র শ্রমিক রয়েছে, তাদের বেতনের পরিমাণও কমবেশি আছে। “তাদের বেতন বৃদ্ধির হারও কমবেশি। সিনিয়রদের কম বেড়েছে এবং জুনিয়রদের বেশি বেড়েছে; এ নিয়ে অসন্তোষ থেকে বিক্ষোভ হতে পারে।”

জানতে চাইলে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, “দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বেতন ‘ফিক্সেশেন’ নিয়ে কনফিউশন আছে। ‘ভুল তথ্যের’ ওপর ভিত্তি করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।” সমস্যা সমাধানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করতে গত বছরের এপ্রিলে নিম্নতম মজুর বোর্ড গঠন করে সরকার। গত ২২ অক্টোবর এই বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেন। আর মালিকপক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ।