গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। স্কুল ছাড়াও শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতালেও হামলা হচ্ছে। ফলে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এর পাশাপাশি অবরুদ্ধ এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি।

আজ ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা ‘বিশ্বাসযোগ্য’।

আর জাজিরা বলছে, জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি ‘আসন্ন’। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জ্যঁ-পিয়েরে বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” গাজাকে আরও বেশি করে সাহায্য পেতে আমরা চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে’।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের জাবালিয়া ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় পুলিশ প্রধান নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া ক্যাম্পে পুলিশ বাহিনীর প্রধান রুদওয়ান রুদওয়ান নিহত হয়েছেন।হামাস বলেছে যে রুদওয়ান উত্তর গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আল জাজিরা জানিয়েছে যে ইসরাইল এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধ ছিল না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।