কালিয়াকৈরে যত্রতত্র অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান

মোঃ মোওাসিম সিকদার রাজীব, ক্রাইম রিপোর্টার (গাজীপুর)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেদারসে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন জ্বালানি তেলের দোকান। যত্রতত্র এসব দোকান গড়ে উঠলেও এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন। ফলে একদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাই তেল বিক্রি, অন্য দিকে নাশকতাকারীদের জ্বালানি দ্রব্য ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান গড়ে ওঠায় বৈধ ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় লোকসান গুনছে বলে জানা যায়। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ  জ্বালানি ব্যবসা এখন উপজেলার সর্বত্র। এসব ভাসমান ব্যবসায়ীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চোরাই তেল, পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবসা ও  এখন তাদের রমরমা। এতে করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব দোকানের ফায়ার সার্ভিস তো দূরের কথা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। উপজেলার সফিপুর টু বড়ইবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক,কালিয়াকৈর  টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক,মৌচাক টু ফুলবাড়িয়া, ভান্নারা বাজার, মাটিকাটা, বাঁশতলী এলাকাসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও হাটবাজারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান। এসব দোকানে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল কেরোসিন সহ বিক্রি করা হয় সকল প্রকার জ্বালানি দ্রব্য। আবার এসব দোকানের সঙ্গে রয়েছে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির চালকের সঙ্গে তেল চোরাইকারীদের যোগসাজশ। ফলে রাত নামতেই   পার্কিং করা গাড়িতে চলে তেল চুরির ঘটনা। গাড়ি থেকে জ্বালানি তেল চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসানের ঘানি টানছে গাড়ির মালিকরা। এছাড়াও তেল চুরির কারণে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা,যমুনা অয়েল কোম্পানিসহ জ্বালানি খাতে ব্যাপক খরচ গুনতে হচ্ছে একাধিক।এদিকে  সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে, আবার একই সঙ্গে অবৈধ দোকানের ভেজাল মিশ্রিত তেল মবিল ব্যবহারের ফলে ইঞ্জিনে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দেয় বলে জানান গাড়ির মালিকরা।
পিকআপভ্যানের মালিক বজলুর রহমান জানান চালকরা কম দামের ভেজাল তেল ক্রয় করে গাড়িতে  ব্যবহার করায় প্রায় সময় ইঞ্জিনে কাজ করাতে হয়।এছাড়াও গাড়ি থেকে তেল চুরি করে বিক্রি করায় গাড়ি ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তেল বিক্রয়কারী কবির মিয়া বলেন আমার দোকানের মতো সফিপুর থেকে বড়ইবাড়ি পর্যন্ত  ৪০টি দোকান রয়েছে। আমরা শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করিতেছি। আমাদের কাছে  অন্য কোন লাইসেন্স নেই।  উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান লাইসেন্স ব্যতীত জ্বালানি তেল ও ধার্য পদার্থ বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। লাইসেন্সবিহীন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।