এরশাদ দেশে ফিরেই দিতে পারেন নতুন বার্তা

বিশেষ প্রতিনিধি : সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আগামী সোমবার দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরার পর জাতীয় পার্টির নির্বাচনের মাঠে কি ভূমিকা হবে তা নিয়ে নতুন বার্তা দিতে পারেন।

জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি কোনঠাসা অবস্থায় থাকার কারণে আগামী নির্বাচনে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশংকায় এরশাদ ভোটের মাঠ থেকে জাপা প্রার্থীদের তুলে নিতে পারেন। সিঙ্গাপুর থেকেই এমন বার্তা দিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। তবে মহাসচিব এরশাদের এমন সিদ্ধান্ত ভেবে-চিন্তে নেবার ব্যাপারে মত দেন।

এদিকে, জাতীয় পার্টির লক্ষীপুরের একটি আসন থেকে মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়েছেন এরশাদ। জাপা নেতৃত্বের উপর দায় চাপিয়ে তার সরে দাঁড়াবার ঘোষণায় পার্টির নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ভর্ৎসনা করেন এইচএম এরশাদ। ঢাকা-১৭ আসন থেকে এরশাদের সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সিঙ্গাপুর থেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। মৃত্যু হলেও তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। ঐ আসনে জোরালো প্রচারণা চালানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফয়সাল চিশতীকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন এরশাদ। তবে চিশতী তার অসহায়ত্বের কথাও জানিয়েছেন এরশাদকে। জাপার কোন নেতা-কর্মী এখনো গুলশান-বনানী এবং ক্যান্টমেন্ট এলাকায় এরশাদের হয়ে কোন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। এমনকি পার্টির মহাসচিব কিংবা বিশেষ সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও নিশ্চুপ রয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের ব্যাপারে।

জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির দেড় শতাধিক আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় পড়েছে মহাজোট প্রার্থীরা। একাধিক আসনে জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এসব বিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চরম বিক্ষুব্ধ এরশাদের উপর। এরশাদ দেশে ফেরার পর যদি উন্মুক্ত প্রার্থীরা তাদের অবস্থার পরিবর্তন না করেন তাহলে জাপার সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্য রকম বোঝাপড়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

জাপার নেতৃত্বে হ-য-ব-র-ল অবস্থার কারণে এবারের নির্বাচনে জাপার প্রার্থীরা চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে টিকে আছেন।