উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান সুজানগর পৌর সভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা

মোহাম্মদ রাজিবুল হক রনি : পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনের আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিনের হাতেগড়া ছাত্রলীগ কর্মী এবং নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তাঁরই সুযোগ্য সন্তান আহমেদ ফিরোজ কবিরের আস্থাভাজন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা।

আসন্ন সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত, কুশল বিনিময়, সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠক ও মৌখিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। সকাল থেকে রাত অবধি তিনি এলাকার নানা শ্রেণির পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছেন, সমর্থন, দোয়া ও ভোট চাইতে।

তোফাজ্জল হোসেন তোফা ১৪ আগোষ্ট ১৯৭২ খ্রী. সুজানগর পৌর এলাকার রাধানগর গ্রামে আলহাজ্ব ছাদেক আলী প্রামানিকের জেষ্ঠ্য পুত্র, তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সদস্য পদ লাভ করেন, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক, ১৯৯৪-২০০৩ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সদস্য নির্বাচিত হয়। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সুজানগর পৌরসভার নির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৬ সালে হাই স্কুলের শিক্ষক আন্দোলন, ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৮৮ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মামলা, ১৯৮৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীক মামলা, ১৯৮৯ সালে জাতীয় পাটি কর্তৃক মামলায় কারাবরণ, ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচন কে কেন্দ্র করে মামলা, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মামলায় কারাবরণ, ১৯৯১-১৯৯৬ সালে বি এন পি সরকারের ১১ মামলায় ৩ বার কারাবরণ, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরর্বতী মিথ্যা হত্যা মামলা, ১৯৯৮ সালে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের মৃত্যু পরর্বতী সময়ে মিথ্যা হত্যা মামলা, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরর্বতী রাজনৈতিক ১১ মামলা, ২০০২ সালের ২২ অক্টোবর পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এর সাথে সেনাবাহিনী কর্তৃক আপারেশন ক্লিনহার্টে গ্রেফতার এবং আপারেশন ক্লিনহার্টে গ্রেফতারে দীর্ঘ সময় কারাবরণ ও নির্মম নির্যাতনের পর ২১ মে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট থেকে মোট ১৩ মামলায় জামিন লাভ করেন, ২০১০ সালে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা হত্যা মামলায় ২ বার কারাবরণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির এমপির প্রধান সম্ননয়কের ভূমিকা পালন করেন।

দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, আমার নেতা প্রয়াত আহমেদ তফিজ উদ্দিন ও তার সুযোগ্য সন্তান আহমেদ ফিরোজ কবির এমপির একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে দাবী করতে পারি। নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে সবসময় পাশে থেকেছি, দলীয় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করেছি, সার্বিক বিচারে দলের জন্য ত্যাগী, শ্রমদানকারী এবং দলীয় মমত্ববোধেই জননেত্রী, মানবতার মা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুজানগর উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন দেবেন এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি আরো বলেন আমি ও আমার ভাইয়েরা ছাত্র জীবন থেকে পারিবারিক ভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার ছোট ভাই আজিজুল হক বাবু সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামীযুবলীগ বর্তমানে প্রচার সম্পাদক এবং বিরোধীদল থাকা কালীন সময়ে বিভিন্ন হয়রানি মূলক ২০ মামলায় কারাবরণ করেন। আমার কনিষ্ঠ ভাই জুয়েল রানা সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বিরোধীদল থাকা কালীন সময়ে বিভিন্ন হয়রানি মূলক ৭ মামলায় কারাবরণ করেন।

দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার খুলনা বিভাগীয় প্রধান আরিফ মিল্টন এবং স্টাফ রিপোর্টার রাজিবুল হক রনি সুজানগর পৌরষভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন তোফার সঙ্গে সাক্ষাৎকার নেয়ার একান্ত মুহুর্তে।

আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনীয় এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেসেই তাদের মূল্যবান ভোটে নৌকা প্রতীক কে জয়যুক্ত করবে এটা বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে গ্রামকে শহর, দূর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরোধে জিরো টলারেন্সে কাজ করবো এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন উপজেলা আওয়ামীযুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা।