ঈদের আনন্দ নেই রাঙ্গাবালীর জেলে পল্লীতে

মোঃ হানিফ মিয়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
এক মাসের বেশি সময় মাছ ধরা বন্ধ। তাই সম্পূর্ণ কর্মহীন পটুয়াখালী তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারী জেলেরা। বেকার এসব জেলেদের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। এ অবস্থায় এবারের ঈদ যেন জেলে পরিবারের কাছে এসেছে খুশির বদলে দুঃখ নিয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় জেলে দম্পতি মিলন সরদার ও লিপি বেগমের সঙ্গে। এসময় মিলন সরদার জানান, পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘ এক মাস ধরে মাছ ধরা বন্ধ। এদিকে জেলে নিবন্ধন না থাকায় সরকারি কোন সহায়তাও পাননা তারা। এ কারণে দুই শিশু সন্তান নিয়ে তাদের দিন কাটছে খুবই কষ্টে।

তাদের মতো একই অবস্থা তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারী হাজার হাজার জেলের। তাদের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। এ অবস্থায় ঈদের আনন্দ নেই জেলে পল্লীতে। পকেটে টাকা না থাকায় সন্তানের নতুন পোশাক কিনে দিতে না পেরে ঈদ যেন অনেক জেলে বাবার কাছে এসেছে অনেকটা বঞ্চনা নিয়ে।

কর্মহীন জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলেও, নিবন্ধন না থাকায় তা থেকেও বঞ্চিত হন অনেক জেলে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, বাজারজাত বন্ধ থাকে। একারণে নিবন্ধিত বেকার জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের ৬ অভায়শ্রমে মার্চ- এপ্রিল দুই মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ভোলার ভেদুরীয়া থেকে পটুয়াখালীর তেতুলীয়া নদীর একশো কিলোমিটার এলাকা।