আলমডাঙ্গা প্রতিক বরাদ্দ ১১ ই নভেম্বর এখন করছে নির্বাচনী অফিস, চলছে মারামারি

এন এইচ শাওন, আলমডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর আর প্রতিক বরাদ্দ ১১ নভেম্বর। এর আগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী অফিস করায় ব্যবস্ত, সন্ধ্যার পরে চলছে চা মুড়ি পান সিগারেট বিড়ি।এই  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।এ সময় অফিসে থাকা  বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত হারদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায় হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টুর কর্মী-সমর্থকরা। আমার অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমার সমর্থকরা তাদের অফিসে হামলা বা ভাঙচুর করেনি। বরং বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীরা আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। ওল্টু মনোনয়ন পায়নি। আমি মনোনয়ন পাওয়ায় তার ক্ষোভ।
অন্যদিকে হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টু জানান, ঘটনার সময় আমি একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। হারদী বাজারে নির্বাচনী অফিসে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থকরা। ভাঙচুর করে ১৫টি চেয়ার ও লাইট। তারা আমার ৫ কর্মীকে মারধর করে আহত করে।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপাতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে হারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এখনও প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী অফিস ও প্রচার প্রচারণা করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন ওই দুই প্রার্থী। হামলার বিষয়ে কোনো পক্ষই আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।
Attachments area