আলমডাঙ্গায় নৌকার কর্মী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল বরখাস্ত

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় নৌকার কর্মী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও আলমডাঙ্গা ইউএনও বরাবরে পাঠানো হয়েছে। ই- মেইলে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা ইউএনও স্নিগ্ধা দাস। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে হত্যাকান্ডে হুকুম দাতা হিসেবে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গত ৯ অক্টোবর অভিযোগপত্র দিলে তা চুয়াডাঙ্গার আদালতে গৃহীত হয়। ফলে তাঁর দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সে জন্য এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সুপারিশে স্থানীয় সরকার আইনের ৩৪-এর (১) ধারায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১১ মার্চ উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক জহুরুলনগর গ্রামের আত্তাব মন্ডলের ছেলে দবির উদ্দিন, খবির উদ্দিন, আনিস ও একই গ্রামের ইসলাম লস্করের ছেলে মিয়াসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় আহত দবিরের ছেলে খোকন ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন। এরপর ১৩ দিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টায় দবিরের মৃত্যু হলে, মামলায় হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হয়। পরে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জিআর ৪৯/২০২৩ মামলটি গৃহীত হয়। মামলার আসামি হয়েও বিপুল প্রথমবারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন; অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সম্প্রতি নিহত দবিরের ছেলে খোকন ইউপি চেয়ারম্যান বিপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।