আমি গরিবের পেটে লাথি মারব না: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি রাজনীতি শুরু করেছিলাম রাস্তায় খেটেখাওয়া মানুষের সঙ্গে। আমি এখনো তাদের লোকই আছি। আমি এই নগরীর লোক, নগরবাসী আমার প্রিয়জন। আমি গরিবের পেটে লাথি মারব না, মারতে পারব না; আর যদি কেউ মারে তাকে প্রতিহত করব। এটাই তৈমুরের নীতি।

বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে নাসিক ১নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তৈমুর আলম খন্দকার।

এ সময় তাকে দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন ওই এলাকার স্থানীয় বাজারের মাছ বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিকশাচালকরাও।

এদিকে তৈমুর আলম খন্দকার প্রার্থী হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির দীর্ঘদিনের মান-অভিমান শেষ করে ঘরোয়া বিভেদ মিটিয়ে একাট্টা হয়ে তার পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। এ সময় নেতাকর্মীদের বেশ উজ্জীবিত দেখা গেছে। তৈমুরের জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।

থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন জানান, আমাদের আজ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্য একটাই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো। তৈমুর ভাইকে ছাড়াও আমরাই প্রচারণা করব। জয় নিয়েই ফিরতে হবে আমাদের। যদি কোনো ওলটপালট হয় তবে এবার নারায়ণগঞ্জে ভয়ানক পরিস্থিতির জন্ম হবে।

অপরদিকে গণসংযোগকালে তৈমুর আলম আরও বলেন, আমার ভালোবাসা সব মানুষের জন্য। কে কোন পেশার এটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমি নিজেও রিকশাচালকদের সভাপতি এখনো। আমার পাশে ধনী, গরিব সবাই আছেন। মানুষের মাঝে যে চাপা ক্ষোভ আর আক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি, তার একটাই কারণ- সেটি হলো তারা পরিবর্তন চায়।

তিনি বলেন, ১৮ বছরের একনায়কতন্ত্রে পুরো নগরী অপরিকল্পিত ও দূষণে পর্যুদস্ত। সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখছি সেখানে কী করে মানুষকে আরও পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। ময়লা ব্যবস্থাপনা বলতে কিছু নেই। তাহলে ১৮ বছরে নাগরিকরা কী পেয়েছে আর কেনই বা বিশ্বাস রাখবে।