আবাহনীর জার্সি চাপাতেই গোল পেলেন জীবন


নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিট চলছে। শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় রেফারি। এরই মাঝে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন সানডে চিজোবা। তাঁর হ্যাটট্রিকের সন্ধ্যায় রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। অন্য দুই গোলের একটি এসেছে জাতীয় দলের ‘মিস মাস্টার’ ট্যাগ লেগে যাওয়া নাবীব নেওয়াজ জীবনের পা থেকে। অন্য গোলটি জুয়েল রানার।
৫-২ গোলের বড় জয়। টপাটপ গোল হওয়ায় উপভোগ্য হয়ে ওঠে ম্যাচটি। ৪ গোল খেয়ে ২টি শোধ করে একতরফা ম্যাচটায় একটু দর্শক আগ্রহ তৈরি করেছে রহমতগঞ্জ। তবে ওই পর্যন্তই। এই জয় আবাহনীর কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। লিগ লড়াইয়ে আপাতত খাতা–কলমে আরেকটু এগিয়েছে ধানমন্ডির দলটি। ২৪ ম্যাচের লিগে ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের ঝুলিতে ৪৩ পয়েন্ট। আবাহনীর একমাত্র কামনা এখন বসুন্ধরার হোঁচট। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে নিজেদের কাজটা ভালোভাবে শেষ করা।

প্রথমার্ধে গতিময় ফুটবল খেলেই চার গোল আদায় করে নেয় আকাশি-নীলরা। ৯ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো থেকে গোলের খাতা খোলেন সানডে। জটলা থেকে টোকায় বল জালে। দ্বিতীয় গোল ৩৩ মিনিটে জুয়েল রানা থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে। আবাহনীও ২-০। দুই মিনিট পরই লেফট উইং দিয়ে এককভাবে বক্সে ঢোকে জুয়েল রানার প্লেসিং, ৩-০। বিরতির ঠিক আগে সানডের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জীবনের সৌজন্যে ৪-০।

প্রথমার্ধেই ৪ গোল। ম্যাচের ৩ পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে এই ভেবেই কিনা বিরতির পর দুলকি চালে আবাহনী। সেই সুযোগে দুটি গোল পরিশোধ করে রহমতগঞ্জ। সিও জুনাপিউ বক্সে ঢুকে প্লেস করেন, ৪-১। দিদারুল বক্সের বাইরে থেকেই দারুণ শটে বল জড়ান জালে, ৪-২। তবে রহমতগঞ্জের দাপট ওই পর্যন্তই। শেষে গোল ৫-২ করেছেন সানডে। ১৪ গোল নিয়ে গোলদাতার শীর্ষে আছেন নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার।