আবারো ব্যাটিং ব্যার্থতায় টাইগাররা


দুর্দান্ত ব্যাট করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাট চালিয়ে বরাবর ১০০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে চলে যান এই ড্যাশিং ওপেনার। তবে অপর প্রান্ত থেকে তেমনভাবে কেউই রান তুলতে পারেননি। ২৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মাত্র ৫৯.২ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে সফরকারী দল। ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার নেইল ওয়াগনার।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো ছিল। তামিম-সাদমানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৭ রান। ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাদমান ইসলাম ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি।  

মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে নেইল ওয়াগনারের বলে আউট হয়ে ফিরে যান মুমিনুল হক (১২)। ফেরার আগে দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল।

বিরতির পর ১৪৭ থেকে ১৪৯- এই ২ রানের ব্যবধানে মোহাম্মদ মিঠুন (৮) ও সৌম্য সরকারকে (১) হারায় বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলে যেতে থাকেন তামিম। তুলে নেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ও ক্যাররিয়ারর নবম টেস্ট সেঞ্চুরি। কিন্তু ব্যক্তিগত ১২৬ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ১২৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার।

তামিম ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। ৩৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানে থামে সফরকারী দল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন লিটন দাস। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান তারই!

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ওয়াগনার ৫টি ও টিম সাউদি নেন ৩টি উইকেট। ট্রে্ন্ট বোল্ট আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম নেন একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস৫৯.২ ওভারে ২৩৪/১০ (তামিম ১২৬, সাদমান ২৪, ‍মুমিনুল ১২, মিঠুন ৮, সৌম্য ১, মাহমুদউল্লাহ ২২, লিটন ২৯, মেহেদী মিরাজ ১০, আবু জায়েদ ২, খালেদ আহমেদ ০, এবাদত ০*; সাউদি ৩/৭৬, ওয়াগনার ৫/৪৭)