NID জালকারী হাজির কারণে কুষ্টিয়া সদরে নৌকার ভোট বিপর্যয় !

কুষ্টিয়া ব্যুরো অফিস

হরিপুর শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধনের দিন NID জালকারী হাজি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছিলেন তাকে ভালো জিপগাড়ী দিলে তিনি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে নৌকার পক্ষে ভোট সংগ্রহ করবেন। ভালো গাড়ি তিনি ঠিকই পেয়েছেন কিন্তু তিনি নৌকার পক্ষে ভোট করেন নি।

আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ NID জালকারী হাজি কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কথিত এপিএস ও শ্যালককে দাঁড় করিয়ে সেই জিপগাড়ী নিয়ে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে শ্যালকের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। যে কারণে নৌকার প্রার্থী জনপ্রিয় নেত্রী সামন্য ভোটে হেরে যান।
NID জালকারী হাজি যে ইউনিয়নে সেতু উদ্বোধনী সভায় জিপগাড়ী চেয়েছিলেন সেই হাটশ হরিপুর ইউনিয়নেও তিনি কোনদিন নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে যাননি। ফলে নৌকার প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া তো দুরের কথা নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিও দেয়া হয়নি।

আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযোগ NID জালকারী হাজি কোন দিন আওয়ামীলীগের সাথে ছিলেন না। তিনি একজন সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি ।

দুইজন বীরমুক্তিযোদ্ধা (বুড়ো ও ফজলু )কে পিটিয়ে হত্যাকারী এবং মোহিনী মিল ধ্বংসকারী এই হাজি ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামের নেতা । তিনি জামায়াত নেতা মাও. দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে এনে মোহিনী মিল মাঠে জনসভা করান এবং তার নিজ বাড়ীতে রাত্রিতে রেখে জামায়াত নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন।

এর পর NID জালকারী হাজি যোগদেন এরশাদের জাতীয় পার্টিতে । ৯০ গণ আন্দোলনে কুষ্টিয়া ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গণদুশমনের তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় গণদুশমন হিসেবে NID জালকারী হাজির নাম ছিল ৪ নং তালিকায় ।
এর পর NID জালকারী হাজি যোগদেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনে । তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।

তোষামোদী ও তেলবাজিতে ওস্তাদ NID জালকারী হাজি ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় ক্ষমতাসীন দলে । তেলবাজি করে পোড়খাওয়া নেতাদের পিছে ফেলে তিনি চলে আসেন দলের প্রথম সারিতে। কুটকৌশল আর তোষামোদী, তেলবাজি করে বাগিয়ে নেন পদ-পদবী। ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া সংগঠনের কোন উপকারে আসেন নি তিনি।

NID জাতিয়াতি করে পরের সম্পদ আত্মসাত করতে যেয়ে মামলা খাওয়ার পর তার চরিত্র ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় কুষ্টিয়া আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে। তাকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করে নেতা-কর্মীরা ।

NID জালকারী হাজি সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য আবারও চক্রান্ত করছে। দলের মধ্যে সৃষ্টি করছে উপদল। নিজের পদ-পদবী টিকিয়ে রাখার জন্য জাল শিক্ষা সনদপত্র ধারী এক দালাল সাংবাদিককে দিয়ে তার পক্ষে দালালী করাচ্ছেন।

NID জালকারী হাজি যে প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে আছেন সেখানেও দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন । তার দুর্নীতির করুন ইতিহাস জানতে হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে আর মাত্র কয়েকটা দিন।