আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযান, দুই বিসিআইসি সার ডিলারকে  জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযান, দুই বিসিআইসি সার ডিলারকে  জরিমান

 

আলমডাঙ্গা অফিসঃ

আলমডাঙ্গায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২জন বিসিআইসি সার ডিলারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

 

বুধবার (০৩ আগস্ট) আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২জন বিসিআইসি সার ডিলারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

অভিযানে মেসার্স নুর মোহাম্মদ ট্রেডার্স ও মেসার্স জনির উদ্দিন এন্ড ব্রাদার্সকে সরকার নির্ধারিত মুল্যের অধিক মূল্যে সার বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়ার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

গত ০১লা আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি চিঠিতে ইউরিয়া সারের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২টাকা করা হয় খুচরা পর্যায়ে। একই চিঠিতে উল্লেক করা হয় ০১ আগস্টের আগে ডিলার পর্যায়ে মজুদকৃত সার পুর্বের দামে অর্থাৎ ১৬টাকা কেজি হিসেবেই বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু আজ আলমডাঙ্গা নতুন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অবস্থিত বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নুর মোহাম্মদ ট্রেডার্স এ অভিযানে গিয়ে দেখা যায় তারা ০১আগস্টের পুর্বে উত্তোলিত সার অধিক দামে বিক্রয় করছেন। ৮০০ টাকার ইউরিয়া ৯৮০ টাকা ও অন্যান্য সারও সরকার নির্ধারিত মুল্যের অতিরিক্ত মুল্যে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। উক্ত অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায় ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়। মেসার্স নুর মোহাম্মদ ট্রেডার্স মুলত আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ডিলার।

এছাড়া হাফিজ মোড়ে অবস্থিত অপর একটি বিসিআইসি ডিলার মেসার্স জনির উদ্দিন এন্ড ব্রাদার্স যিনি মুলত কুমারী ইউনিয়নের ডিলার এই প্রতিষ্ঠানটিতেও অধিকার মুল্যে সার বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। টিএসপি সারের সরকার নির্ধারিত খুচরা মুল্য ২২ টাকা কেজি হলেও এই প্রতিষ্ঠান ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করেছেন। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সাজিয়ে রাখা প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক জব্দ করা হয়। উক্ত অপরাধে তাদের একই আইনের ৪০ ও ৫১ ধারায় ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম।