পিচে নয় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তোরমুজ

স্বপন আলী ,গাংনী প্রতিনিধিঃ
গরমে আত্নতৃপ্তি এনে দেয় এক ফালি রসালো তরমুজ। ফলটি গ্রীষ্মের ফল হিসেবেও সুপরিচিত। তবে মেহেরপুর ও গাংনী বাজারে চৈত্র মাসে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কেজি দরে অস্বাভাবিক ভাবে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রসালো এই তরমুজ দেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় তরমুজ চাষ হয় ব্যাপকভাবে। এরই মধ্যে ঐ সব অঞ্চল থেকে তরমুজ মেহেরপুর এবং গাংনী  বাজারে আসতে শুরু করেছে।
এছাড়াও সাধারণত চৈত্র মাসে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে অনেক থাকে, আর তখন দামও হবে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এটাই সবার আশা। কিন্তু বর্তমানে মেহেরপুর এবং গাংনীতে সর্বত্র কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০টাকা। মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনতে হচ্ছে ৩’শ-৪’শ টাকায়। যা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ক্রয় করে খাওয়া খুব কস্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মেহেরপুর সদরের বিভিন্ন বাজারে, এবং গাংনী উপজেলা শহর ও বাণিজ্যখ্যাত বামন্দী বাজারে সহ সবখানেই কেজি দরে  তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ পাইকারি কৃষকদের কাছ থেকে পিচ হিসেবে  হিসেবে কিনে আনছেন বিক্রেতারা। অথচ এখানকার বাজারে এসে তা বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
গাংনীর বাজার বাসষ্টার্ন্ডে তরমুজ ক্রেতা একরামুল হক বলেন, এবছরের নতুন ফল তরমুজ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই কিনলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের আশা গত বারের মত এবার যেনো তরমুজ নিয়ে যেনো না হয়।
তবে প্রশাসন এবং বাজার মনিটরিং এর কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এক্ষেত্রে সাধারণ ক্রেতারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন।